সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান। রাজ্যের লাগাতার দাবির চাপে বাংলার কৃষকরা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের প্রাপ্য টাকা পেলেন। মাসিক কিস্তির ২ হাজার টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে রাজ্যের প্রায় ৭ লক্ষ কৃষকের। তিন কিস্তিতে এই টাকা মিলবে বাংলার কৃষকদের। এই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অষ্টম কিস্তি এবার দেওয়া হল দেশের মোট ৯ কোটি কৃষককে। শুক্রবার কিষাণ নিধি সম্মানের টাকা বণ্টনের আগে সরাসরি কৃষকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। কীভাবে তাঁদের কৃষিকাজ চলছে, সেসব বিস্তারিত জানতে চান তিনি। পিএম কিষাণ নিধি প্রকল্পে এই দফায় ১৯ হাজার টাকা খরচ করা হচ্ছে বলেও জানান। ভিডিও কনফারেন্সে ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরও।
পিএম কিষাণ নিধি সম্মান (PM-Kisan Nidhi) প্রকল্পের টাকা প্রাপ্তি নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্যের টানাপোড়েন চলছিলই। কেন্দ্রের তরফে অভিযোগ তোলা হচ্ছিল, রাজ্য ঠিকমতো কৃষকদের সম্পর্কে তথ্য দিচ্ছে না। আবার রাজ্যের অভিযোগ ছিল, সমস্ত তথ্য দেওয়া সত্ত্বেও বাংলার জন্য বরাদ্দ টাকা আটকে রাখা হয়েছে। তৃতীয়বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার রাজ্যের ক্ষমতায় আসার ঠিক পরেই এই টানাপোড়েনের অবসান ঘটল আপাতত।
[আরও পড়ুন: দলবদলু তৃণমূল নেতাদের বাড়তি গুরুত্ব দিয়েই বিজেপির হার বঙ্গে, মত RSS মুখপত্রের]
অনেক চিঠি চালাচালির পর শুক্রবার সকালে দেশের বাকি কৃষকদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা পেলেন বাংলার ৭ লক্ষ চাষি। যদিও রাজ্য থেকে প্রায় ২০ লক্ষের নাম পাঠানো হয়েছিল বলে খবর। তিন মাসের কিস্তিতে এই টাকা তাঁরা পাবেন বলে জানা গিয়েছে। এদিন প্রকল্পের টাকা বণ্টনের পর প্রধানমন্ত্রী কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকার কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা বিস্তারিত জানান। জৈব সারে ব্যবহারে আরও জোর দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জানান, করোনার চোখরাঙানি সত্ত্বেও রেকর্ড পরিমাণ গম উৎপন্ন হয়েছে এ বছর।
[আরও পড়ুন: বন্ধ লোকাল ট্রেন, যাত্রী হয়রানি কমাতে বাস, লঞ্চের সংখ্যা বাড়াচ্ছে রাজ্যের পরিবহন দপ্তর]
তবে বাংলার কৃষকদের বরাদ্দ টাকা নিয়ে হিসেবে গরমিল থাকছেই। নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় নেতারা বারবার প্রচারে এসে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সমস্ত জট কাটলে কিষাণ নিধি প্রকল্পে ১৮ হাজার টাকা পাবেন কৃষকরা। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, প্রথম কিস্তিতে মিলল মোটে ২ হাজার। এরপর বাকি দুই কিস্তি মিলিয়ে আরও ৪ হাজার টাকা মিলবে। ফলে ১৮ হাজার পাওয়ার প্রতিশ্রুতি নেমে এল সাকুল্যে ৬০০০ টাকায়। এ নিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনের কটাক্ষ, কেন্দ্রের থেকে বাংলার ভাঁড়ারে প্রাপ্তি শূন্য।