সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর (Narendra Singh Tomar) বলছেন, “আমরা ন্যূনতম সমর্থন মূল্য’ নিয়ে লিখিত আশ্বাস দিতে রাজি। হাত জোড় করে কৃষকদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে আলোচনায় বসতে অনুরোধ করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গতকাল বাংলা থেকেই বলছিলেন, “আমার বিশ্বাস, কৃষক বন্ধুরা আলোচনায় বসবেন।” কিন্তু কিছুতেই যেন কোনও কাজ হচ্ছে না। যত দিন যাচ্ছে তত কৃষি আইন বাতিলের দাবি জোরাল করছেন দিল্লি সীমান্তে বিক্ষোভরত (Farmers Protest) কৃষকরা। তাঁদের দাবি, সরকার যে আলোচনার প্রস্তাব দিচ্ছে, সেই আলোচনায় লাভের লাভ কিছু হবে না। কারণ, সরকার বৈঠকে যুক্তি, বা তথ্য নির্ভর আলোচনা করতে রাজি নয়।
এদিকে, কৃষক আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা অন্যতম বৃহৎ সংঠন অল ইন্ডিয়া কিষাণ সভা আজ দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস পালনের ডাক দিয়েছে। তাঁদের দাবি, আন্দোলন চলাকালীন দিল্লির ঠান্ডায় এবং অসুস্থতার কারণে, অন্তত ৩৩ জন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে বেশ কয়েকজনের। AIKS জানিয়েছে, প্রয়াত এইসব আন্দোলনকারীদের স্মরণে আজ দেশের অন্তত ১ লক্ষ গ্রামে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস পালিত হবে। আজ সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই গ্রামগুলিতে মৃত কৃষকদের স্মরণসভা, কৃষি আইন সংক্রান্ত প্রচার, প্রার্থনাসভা এবং মানব বন্ধনের আয়োজন করা হবে।
[আরও পড়ুন: ফের কংগ্রেস সভাপতি পদে সোনিয়াপুত্র? নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য রাহুলের]
এদিকে, কৃষকদের আন্দোলনের তীব্রতার মধ্যেই আবার রাজনৈতিকভাবে ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। দলের ছোট এক জোটসঙ্গীর একমাত্র লোকসভা সাংসদ, কৃষি আইনের প্রতিবাদে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় কমিটি থেকেই পদত্যাগ করেছেন। ইতি হলেন রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টির নেতা হনুমান প্রসাদ বেনিওয়াল। রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টির এই নেতা বেশ কিছুদিন ধরেই কৃষি আইন প্রত্যাহার না করলে এনডিএ (NDA) জোট ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিলেন। এমনকী নয়া আইনের বিরুদ্ধে কিষাণ মার্চ করারও হুমকি দিয়েছেন। এবার সংসদীয় কমিটি থেকে পদত্যাগ করলেন। প্রসঙ্গত, জাতীয় রাজনীতিতে রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টি (RLP) খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর না হলেও রাজস্থানে এই দলটি গুরুত্বপূর্ণ।