shono
Advertisement

খেতে উড়ছে ড্রোন! কৃষিকাজে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে খুশি কালনার কৃষকরা

ব্যাপারটা ঠিক কী?
Posted: 07:48 PM Mar 05, 2024Updated: 07:48 PM Mar 05, 2024

অভিষেক চৌধুরী, কালনা: কালনার আকাশে ড্রোন! তাহলে কি বিশেষ কোনও বার্তা, বিশেষ কোনও ঘটনা?  ড্রোন দেখে চোখ কপালে ওঠে অনেকের। বিষয়টা বুঝতেই সম্বিত ফেরে সকলের। কারণ, এই ড্রোনে বিপদের কোনও সংকেত নেই। নেই কোনও নজরদারি। বরং রয়েছে কৃষিকাজে আধুনিকতার ছোঁয়া। এর মাধ্যমে শুধু সময় নয়, শ্রমিক ও অর্থ সাশ্রয়ও হবে। উপকৃত হবেন চাষিরা।

Advertisement

মূলত কৃষিকাজের উপরই নির্ভরশীল কালনা মহকুমা এলাকার মানুষজন। এখানে সবথেকে বেশি যেমন ধানের চাষ হয়, তেমনই পাট, আলু-সহ সবজি ও ফলের চাষ হয়। চাষের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হল রোগ পোকাদমন করা ও গাছের বৃদ্ধির দিকে নজরদারি। তা করতে সঠিক সময়ে কীটনাশক ও সার প্রয়োগ করাটা খুব জরুরি। এক্ষেত্রে সময়ের পাশাপাশি শ্রমিকও লাগে অনেক। তাই এই ড্রোনের ব্যবহার। যার মাধ্যমে অল্পসময়ে অনেক বেশি পরিমাণ জমিতে কীটনাশক ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা যায়। সাশ্রয় হয় অর্থের ও শ্রমিকের। এদিন কালনার কৃষিখামারে ৬০ জন চাষিকে নিয়ে ড্রোন প্রদর্শনী করে কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা।

[আরও পড়ুন: মোদি, যোগীকে খুনের হুমকি! ভিডিও বার্তার সূত্র ধরে অভিযুক্তের খোঁজে পুলিশ]

সহ-কৃষি অধিকর্তা পার্থ ঘোষ জানান, “ড্রোনের মাধ্যমে অল্পসময়ে, অল্প খরচে অনেক বেশি জমিতে কীটনাশক ও রাসায়নিক সার ব্যবহার করা যায়। সাধারণভাবে এক একর জমিতে স্প্রে করতে ২৫০-৩০০ লিটার জলের প্রয়োজন হয়। সেখানে মাত্র ১০ লিটার জল লাগে। স্প্রে করতে সময় লাগে মাত্র ৫-১০ মিনিট। এতে চাষির সময়, অর্থ, শ্রম সবই সাশ্রয় হবে। এতে ওষুধের কার্যকারিতা অনেক ভালো হয়। এদিন এক প্রদর্শনীর মাধ্যমে ড্রোনের ব্যবহার ও তার উপকারিতা সম্পর্কে সচেতন করা হয়।” এছাড়াও তিনি জানান, “রাজ্য সরকার কৃষিকাজের উন্নতিতে বিভিন্ন যন্ত্রপাতিতে ভর্তুকি দিচ্ছে। ভর্তুকি মূল্যে ড্রোনও মিলছে। এদিন অনেক চাষীই ড্রেনের ব্যবহারে আগ্রহও দেখান।” চাষের কাজে এমনই এক নতুন দিশা পেয়ে খুশি হন চাষিরাও।

[আরও পড়ুন: পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে অ্যাসিড হামলার শিকার ৩ ছাত্রী! গ্রেপ্তার এমবিএ ছাত্র]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement