সুমন করাতি, হুগলি: মালদহের পর এরাজ্যে আম চাষে দ্বিতীয় হুগলি। ব্যান্ডেল, সুগন্ধা, চুঁচুড়া, গোটু সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় আমের বাগান রয়েছে। তবে গত কয়েক বছরের তুলনায় এবছর আমের ফলন কম। প্রতিবছর বাগান মালিকদের কাছ থেকে লিজ নিয়ে আম চাষ করেন চাষিরা। হুগলি থেকে বিহার, উত্তরপ্রদেশ, চেন্নাই, দিল্লি-সহ অন্যান্য রাজ্যে পাড়ি দেয় এ রাজ্যের আম। এবছর ফলন কম, তবে তা সত্ত্বেও যোগীরাজ্যে পাড়ি দেবে হুগলির আম।
এবছর আমের ফলন কম, চাহিদা থাকলেও অন্যান্য রাজ্যে যোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আমের মুকুল আসার সময়ও বৃষ্টির দেখা মেলেনি। তীব্র গরমে অসময়ে ঝরে পড়েছে আমের মুকুল। তার উপর বেড়েছে ওষুধ ও শ্রমিকের খরচ। অধিকাংশ চাষি যারা বাগান লিজ নিয়ে চাষ করেছেন। তবে লাভের মুখ দেখতে পাবে না বলেই মনে করছেন। সামনেই রয়েছে জামাইষষ্ঠী, তার আগে জামাইদের পাতে আম দিতে শাশুড়িদের বেশ খরচ করতে হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ‘পঞ্চায়েত’ তারকাদের উপার্জন ফাঁস! ‘সচিবজি’, ‘প্রধানজি’দের আয় জানলে চমকে যাবেন]
এক আম চাষি বলেন, প্রতিবারই বাগান লিজ নিয়ে চাষ করতে হয়। এবছর আমের যা ফলন তাতে চাষিরা যে টাকা খরচ করেছে, তা উঠবে না। আমের মুকুল আসার পর গাছে তিনবার স্প্রে করতে হয়। নাবী বোলের সময় আবহাওয়া খারাপ থাকার জন্য মুকুল ঝরে গিয়েছে। ওষুধের দাম অত্যাধিক বেড়ে গিয়েছে। তার উপর বেড়েছে শ্রমিকের খরচ। আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকার লিজ নিয়ে চাষ করা হয়েছে। কিন্তু এবছর সেই টাকা উঠবে কিনা সেটাই এখন চিন্তার বিষয়।
ব্যবসায়ী তাপস পাল জানান, গত বছরের তুলনায় আবহাওয়ার জন্য এবছরে ফলন অনেক কম। যারা বাগান নিয়ে চাষ করেছে তাদের অনেকের কাছে ফলন হয়নি। গাছপাকা হিমসাগর পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে ৮০- ৮৫ টাকা। গটু বাজারে অন্যান্য বছর ১০০ টা গাড়ি লোড করা হয়, কিন্তু এ বছর ৮ থেকে ১০ টা করে গাড়ি লোড করা হচ্ছে। এ বছর ৮ থেকে ১০ টন করে ভিনরাজ্যে পাড়ি দিচ্ছে এ রাজ্যের আম, অন্যান্য বছরের তুলনায় যা দশ শতাংশ। যে পরিমাণ দাম বেড়েছে তাতে মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। তবে যাই হোক ষষ্ঠীতে জামাই পাতে অল্প পরিমাণে আম দিতে পারবেন শাশুড়িরা।