সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: পিঁয়াজ সংরক্ষণ এবং অন্যান্য উৎপাদিত সবজি যাতে সুন্দরভাবে প্যাকিং করে বাজারজাত করা যায় তার জন্য কৃষকদের আর্থিক সাহায্য করছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে ঝাড়গ্রাম (Jhargram) জেলার চারটি জায়গায় তৈরি হয়েছে পিঁয়াজ রাখার জন্য স্টোর এবং ‘প্যাক হাউস’। প্রশাসনকে পাশে পেয়ে আশার আলো দেখছেন কৃষকরা।
পিঁয়াজের বর্তমান দাম আকাশ ছোঁয়া। অনেকক্ষেত্রে উৎপাদিত পিঁয়াজ সংরক্ষণ করতে পারেন না বলে জলের দরে ফোঁড়েদের কাছে তা বিক্রি করতে বাধ্য হন কৃষকরা। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেকথা মাথায় রেখে কৃষকদের পাশে দাঁড়াতেই প্রশাসন এই ব্যবস্থা নিয়েছে। জামবনি ব্লকের এনেয়াটা গ্রামে এক কৃষক উপভোক্তা আর্থিক সাহায্য পেয়ে তৈরি করেছেন স্বল্পমূল্যের পিঁয়াজ সংরক্ষণ স্টোর। এই সংরক্ষণ কেন্দ্র করতে মোট খরচ হয়েছে এক লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা। এই অর্থের পঞ্চাশ শতাংশ আর্থিক সাহায্য দিয়েছে সরকার। প্রকৃতিকভাবে বাতানুকুল এই সংরক্ষণ স্থানে পঁচিশ মেট্রিকটন পর্যন্ত পিঁয়াজ মজুত করা যাবে। দুই থেকে তিনমাস ভালভাবেই সংরক্ষণ করা যাবে পিঁয়াজ। জামবনি ব্লকের এনেয়াটা ছাড়াও এই একই ধরনের পিঁয়াজ স্টোর তৈরি হয়েছে বেলপাহড়িতেও। এছাড়া প্যাক হাউস অর্থাৎ উৎপাদিত বিভিন্ন সবজি যাতে মজুত করে ভালভাবে প্যাকেটজাত করা যায় তার জন্য বিশেষভাবে একটি ঘর তৈরির জন্য আর্থিক সাহায্য দিয়েছে প্রশাসন। এই ঘর তথা প্যাক হাউসে সবজি যাতে না নষ্ট হয় তার ব্যবস্থা থাকছে।
[আরও পড়ুন: ব্রিগেড সমাবেশের আগে তৃণমূল-ISF সংঘর্ষ, উত্তপ্ত ভাঙড়]
উদ্যানপালন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্যাক হাউস গুলি নয় বাই ছয় মিটারের। তৈরিতে খরচ হয় চার লক্ষ টাকা। এই খরচের পঞ্চাশ শতাংশ তথা দুই লক্ষ টাকা দিয়েছে সরকার। ঝাড়গ্রাম ব্লকের শুকনিবাসা এবং গোপীবল্লভপুর এই প্যাক হাউস তৈরি হয়েছে। এর ফলে উপকৃত হচ্ছেন কৃষকরা। সুরক্ষিতভাবে সবজি মজুত রাখতে পারবেন তাঁরা।এবিষয়ে ঝাড়গ্রাম জেলা উদ্যানপালন দপ্তরের আধিকারিক খুরসেদ আলম বলেন, “বেলপাহাড়ি, জাবমনিতে দু’টি পিঁয়াজ স্টোর এবং ঝাড়গ্রাম এবং গোপীবল্লভপুরে ‘প্যাক হাউস’ তৈরি হয়েছে। আর জন্য দপ্তর পঞ্চাশ শতাংশ আর্থিক সাহায্য করেছে। এর ফলে চাষিরা নানাভাবে উপকৃত হবেন।”