অরূপ বসাক, মালবাজার: সামনে বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election 2021)। ভোট নিয়েই মেতে রয়েছেন প্রায় সকলে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে কৃষিকাজে মাতলেন মাল ব্লকের একদল মানুষ। সৌজন্যে, ‘বাঁহাতি ক্যানেল’। চাষবাসের সুবিধার জন্য মাল ব্লকে গাজোলডোবার তিস্তার ধারা থেকে তৈরি হয়েছে এই ক্যানেল। লোকমুখেই এর নাম ‘বাঁহাতি’।
কেন এমন নাম? কারণ, এর ডানদিকেও একটি ক্যানেল রয়েছে। এবার ‘বাঁহাতি’র জলে যেন নতুন করে অক্সিজেন পেল স্থানীয় কৃষিকাজ। বছরের এই সময়ে জমিতে ধানচারা রোপণের কাজ করা হয়। যার জন্য প্রয়োজন হয় পর্যাপ্ত জল। কিন্তু এ সময়ে ওই এলাকার নদী-নালায় জল থাকে না। ফলে সমস্যায় পড়েন ডুয়ার্সের কৃষকরা। অবশেষে সেই সমস্যা মিটল ‘বাঁহাতি’র জলে। আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন মালবাজার ব্লকের বহু কৃষক। তিস্তার ‘বাঁহাতি ক্যানেলে’র জল দিয়ে খুশিমনে চাষের কাজ করছেন গাজোলডোবা, কাঠামবাড়ি, ক্রান্তি-সহ বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলের বীরবাহাকে জেতাতে ‘আত্মত্যাগ’ মায়ের, ঝাড়গ্রামে প্রার্থী দিচ্ছে না ঝাড়খণ্ড পার্টি]
কৃষিপ্রধান এই এলাকার কথা মাথায় রেখে প্রায় আট বছর আগে গাজোলডোবায় তিস্তা ব্যারেজ থেকে এই ‘বাঁহাতি ক্যানেল’ তৈরি করা হয়। শুখা মরসুমে এই ক্যানেলের জল ছেড়ে দেন ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ। এলাকার কৃষকদের কথায়, অন্যবার এত মসৃণভাবে জল মেলে না। এ বছর জলের ধারা খুবই ভাল। কৃষিকাজে সুবিধা হচ্ছে। স্থানীয় কৃষক শ্রীপদ রায়, দুর্গা সরকারদের বক্তব্য, এই ক্যানেলের জল দিয়ে শুখা মরসুমে তাঁরা বরো ধান চাষ করেন। টাকা খরচ করে পাম্পসেট বসাতে না হওয়ায় খুবই উপকার হয়। ধান ব্যবসায়ী মদন বিশ্বাসের কথায়, “শুখা মরসুমে এই ক্যানেলের লকগেট খুলে দেন ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ। সেই জল দিয়েই চাষ করছেন মাল ব্লকের কৃষকরা।” তাই ভোট নিয়ে আর এখানকার কৃষকদের মাথাব্যথা নেই। দিনভর মাঠে পড়ে কৃষিকাজেই মেতে রয়েছেন তাঁরা।