shono
Advertisement

তীব্র গরমে নিম্নমুখী ফুলের বাজার দর, মাথায় হাত চাষিদের

ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা।
Posted: 04:36 PM Apr 18, 2021Updated: 04:36 PM Apr 18, 2021

সৈকত মাইতি, তমলুক: চড়া রোদ ফের নিম্নমুখী ফুলের বাজার দর। আর তাতেই যেন নতুন করে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ফুলচাষিরা। পরিস্থিতি এমনই যে, বর্তমানে বাগান থেকে ফুল তুলতে গেলে যে খরচ হয়ে থাকে ফুল বেচে সেটুকু জোগাড় করতে হিমশিম পরিস্থিতি পাঁশকুড়া, কোলাঘাটের ফুলচাষিদের।

Advertisement

ধান, পানের পাশাপাশি বিকল্প চাষ হিসেবে এখন অনেকটাই নির্ভরশীল রয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) জেলায় ফুলচাষিরা। মূলত পাঁশকুড়া ও কোলাঘাট ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে এই ফুল চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও পার্শ্ববর্তী পশ্চিম মেদিনীপুর এবং হাওড়া থেকেও এই ফুলের অনেকটা অংশই চাহিদা পূরণ হয়ে থাকে। স্বাভাবিকভাবেই পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বিপুল পরিমাণ এই ফুলের চাহিদা মেটাতে কোলাঘাটেই গড়ে উঠেছে রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফুলের বাজার। কিন্তু উপযুক্ত পরিকাঠামো সংরক্ষণের অভাবে বেশ কয়েক বছর ধরে চাষিদের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছিল। আর এবারের গরম বাড়তে যার ব্যতিক্রম হল না।

[আরও পড়ুন: প্লাস্টার কাটার অনুরোধ করেছিলাম, চিকিৎসকরা আরও ৭ দিন রাখতে বললেন: মমতা]

গত প্রায় এক বছর ধরে লকডাউন এবং পরবর্তী সময়ে বাড়তে থাকা করোনার মহামারীর আতঙ্কে ফুলের বাজার তলানীতে নেমে আসে। গরম বাড়তে ছবিটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে কোলাঘাটের দেউলিয়া এবং স্টেশন সংলগ্ন পাইকারি ফলের বাজারে। একদিকে ফলন বেশি অপরদিকে চাহিদা না থাকায় বহু সাধের জনপ্রিয় রজনীগন্ধা ফুলের দল কেজিপ্রতি ১৫ টাকার নিচে নেমে আসে। একইসঙ্গে দোপাটি কুড়ি টাকা কেজি। গাঁদা ২৫ টাকা ও বেলফুল কেজি প্রতি ৬০ টাকায় বিক্রি হয়। তবে কয়েকদিন ধরেই সাধের গোলাপের দর প্রতি ১০০ পিস ৩০ টাকাতে নেমে এলেও এই ফুলের দল কিছুটা বেড়ে ৭০ টাকায় পৌঁছেছে। ফলে দীর্ঘ সময় ধরে মাঠে নেমে কাটার খোঁচা খেয়ে গেলে ফুল তুলতে গেলে এলাকার চাষিদের যে সহজে বহন করতে হয় সেই টুকু খরচ বহন করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। ফলে কার্যত গত চৈত্র মাস জুড়ে ফুলের বাজারে নতুন করে খরা সৃষ্টি হয়েছে। এই বিষয়ে ফুল চাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে নারায়ন নায়েক বলেন, “বর্তমানে ফুলের ফলন চাহিদার তুলনায় অনেকটাই বেশি। সেই সঙ্গে বর্তমানে রাজ্যব্যাপী নির্বাচন পরিস্থিতিও এই ফুলের দাম কমার জন্য অনেকটাই দায়ী। তাই আমাদের আরো একবার প্রার্থনা যাতে দ্রুত এই এলাকায় চাষিদের স্বার্থে ফুলের সংরক্ষণ এবং বিপণনের বিষয়ে জোর দিয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয় জেলা প্রশাসন।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement