রাজকুমার, আলিপুরদুয়ার: আলুর বীজের জন্য মূলত বাংলার কৃষকরা পাঞ্জাবের উপর নির্ভরশীল। তবে এবার আলিপুরদুয়ারে কৃষি বিপ্লব। হাইটেক পদ্ধতিতে আলুর বীজ উৎপাদন শুরু হল আলিপুরদুয়ারে। চন্দ্রমুখী, নীলকন্ঠ, সুখ্যাতি, হিমালিনি, জ্যোতি, লাভকর-সহ নানা প্রজাতির আলুর বীজ উৎপাদন শুরু হল। পশ্চিম নারারথলি এলাকায় কৃষি দপ্তরের সহযোগিতায় আলুর বীজ উৎপাদন শুরু করেছে। ১২টি পলি হাউস তৈরি হয়েছে। উদ্যোগে খুশি খোদ জেলাশাসক আর বিমলা।
আলিপুরদুয়ারে ২০ হাজার হেক্টর জমিতে আলুর চাষাবাদ হয়। জেলাতে মূলত জ্যোতি ও চন্দ্রমুখী এই দুই প্রজাতির আলুর চাষ হয়। এই দুই প্রজাতির আলুর বীজের জন্য পাঞ্জাবের উপর নির্ভরশীল কৃষকরা। অন্য রাজ্য থেকে কৃষকদের চড়া দামে আলুর বীজ কিনতে হয়। অনেক সময় অন্য রাজ্যের পাঠানো বীজের গুণগত মানও ভালো হয় না। এই অবস্থায় জেলায় আলু বীজ উৎপাদনের উদ্যোগে আশার আলো দেখছেন কৃষকরা। মূলত এক বছর পর থেকেই জেলাতে উৎপাদিত বীজ ব্যবহার করতে পারবেন কৃষকরা।
[আরও পড়ুন: EXCLUSIVE: মোদির সভায় বিজেপিতে যোগ, ভোটে তমলুকের প্রার্থী হচ্ছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়!]
জেলাশাসক আর বিমলা বলেন, “পশ্চিম নারার থলি এলাকায় কৃষকরা দারুণ উদ্যোগ নিয়েছে। হাইটেক পদ্ধতিতে আলুর বীজ তৈরি শুরু হয়েছে। আমি ওই এলাকায় গিয়ে এই উদ্যোগ দেখে এসেছি। তার ফলে আমাদের জেলার কৃষকরা কম দামে উন্নত মানের আলুর বীজ পাবেন। কৃষিদপ্তর এই কাজে কৃষকদের সব রকমভাবে সহযোগিতা করছে। ওই এলাকার কৃষকরা ফার্মার্স প্রোডিউসার কোম্পানি গড়ে এই উদ্যোগ নিয়েছেন।”
হাইটেক পদ্ধতিতে আলুর বীজ তৈরির উদ্যোগ জেলাতে এই প্রথম। রোগ, পোকার আক্রমণ থেকে বাঁচিয়ে পলি হাউস তৈরি করে আলুর বীজ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই বীজে ফলন অনেক বেশি। তবে বীজ সংরক্ষণে হিমঘরের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে মনে করছেন কৃষকরা। পশ্চিম নারার থলির কৃষক সঞ্জয় কুমার রায় বলেন, “আলুর বীজ হিমঘরে সংরক্ষণ করলে তার গুণগত মান ভালো হয়। সে কারণে হিমঘর এলাকায় খুব প্রয়োজন। জেলা প্রশাসন হিমঘর তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে।”