রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: বৃষ্টি না হওয়ায় দুশ্চিন্তা বাড়ছিল চা বাগানের মালিক-শ্রমিকদের। চা বাগানের দুটি পাতা একটি কুঁড়িও দেখা যাচ্ছিল না। ক্রমে গাছগুলিতে রোগ ও পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছিল। পর্যাপ্ত জলের অভাবে বেশিরভাগ চা গাছ লাল হতে শুরু করে। গতকাল বৃহস্পতি উত্তরবঙ্গের এই জেলায় যথেষ্ট পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে। আর সেই বৃষ্টিই স্বস্তি এনেছে বাগানের মালিক, শ্রমিকদের।

জানা গিয়েছ, তরাই ও ডুয়ার্সের প্রায় সব জায়গাতেই মুশলধারে বৃষ্টি হয়েছে। তবে বৃষ্টির সঙ্গে শিল পড়েনি। তেমন ঝড়ও হয়নি। ফলে এই বৃষ্টিই আশীর্বাদ হিসেবে ঝড়েছে বলে মনে করছেন ম্যানেজার, শ্রমিকরা। আলিপুরদুয়ার শহর লাগোয়া মাঝের ডাবরি চা বাগানের ম্যানেজার চিন্ময় ধর বলেন, “দীর্ঘ ছয় মাসের অপেক্ষার পর এমন বৃষ্টি পেলাম আমরা। যেসব চা বাগানে সেচের ব্যবস্থা নেই সেখানে এই বৃষ্টি খুব কাজে লাগবে।" আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে এই বৃষ্টির ফলে ভালো পাতা তৈরি হবে। দুটি পাতা একটি কুঁড়ি চায়ের জন্য কেবল প্রয়োজন হয়। সেই ফসল এবার পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন তিনি।
এই বৃষ্টির ফলে চা পাতার উৎপাদন, গুণমান দুটোই ভাল হবে। মে মাসে ফলন ভালো হবে। এই কথা মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এতদিন চা উৎপাদনের পরিমান অনেকটাই কম ছিল। কিন্তু এবার কত উৎপাদন হবে? সেই বিষয়টি আগামী দিনে বলা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বৃষ্টির ফলে রোগ, পোকার আক্রমণ কমবে। যে সব চা বাগানে সেচের ব্যবস্থা নেই, সেখানে এই বৃষ্টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু মালিকপক্ষই না, এই বৃষ্টির ফলে খুশি চা শ্রমিকরাও। চা শ্রমিক নেতা বিদ্যুৎ গুণ বলেন, “অনেক দিন থেকে আমরা বৃষ্টির অপেক্ষা করছিলাম। অবশেষে সেই বৃষ্টি পেলাম। এটা চা শিল্পের পক্ষে খুব আশার কথা।" বাগানের শ্রমিক সুনীতা ওঁরাও, মন্তি গোপরা বৃষ্টর পরে অত্যন্ত আনন্দিত। সপ্তাহ দু'য়েক পরেই ভালো ফলনের আশা করছেন তাঁরা।