সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একেবারে প্রাণে মেরে ফেলার জন্যই হামলা চালানো হয়েছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপরে। ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে কথাই জানাল আমেরিকার তদন্তকারী সংস্থা এফবিআই। খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেই প্রাথমিকভাবে শুরু হয়েছে তদন্ত। তবে আপাতত প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপরে আর হামলার সম্ভাবনা নেই বলেই মত পেনসিলভ্যানিয়া পুলিশের।
মার্কিন প্রেসিডেন্টকে লক্ষ্য করে গুলিবৃষ্টিতে ইতিমধ্যেই এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন তদন্তকারী সংস্থা। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুই ব্যক্তি। তবে সুস্থ রয়েছেন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। পরে ট্রাম্প নিজে এদিনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন সোশাল মিডিয়ায়। লিখেছেন, ‘বুলেট আমার ডান কানের উপরের অংশ ছুঁয়ে বেরিয়ে গিয়েছে। বুলেট আমার ত্বক ছুঁয়ে যেতেই বসে পড়ি। খুব রক্ত পড়ছিল। বুঝতে পারছিলাম ঠিক কী ঘটে গিয়েছে।’ আপাতত নিউ জার্সির বাড়িতে ফিরে গিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: এলন মাস্ককে খুনের ষড়যন্ত্র! ‘৮ মাসে ২ বার হামলার চেষ্টা’, বিস্ফোরক দাবি ধনকুবেরের]
ঠিক কী উদ্দেশ্যে হামলা হল ট্রাম্পের (Donald Trump) উপর, সেই নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি এফবিআইয়ের তরফে। তবে তদন্তকারীদের মতে, প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে মেরে ফেলাই হামলাকারীর উদ্দেশ্য ছিল। উল্লেখ্য, বিবৃতি দিয়ে এফবিআই জানিয়েছে, ‘প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জনসভায় যে হামলা চালিয়েছে তার নাম টমাস ম্যাথিউ ক্রুকস। বয়স ২০। সে পেনসিলভ্যানিয়ার বেথেল পার্কের বাসিন্দা ছিল। ওই প্রদেশের ভোটার তালিকা অনুযায়ী টমাস রিপাবলিকান দলের সদস্য।' ঘটনাস্থলেই মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের স্নাইপারের গুলিতে খতম হয় টমাস।
উল্লেখ্য, পেনসিলভ্যানিয়ার বাটলারে নির্বাচনী জনসভা করছিলেন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ট্রাম্প। তখনই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় আততায়ী। গুলি কান ছুঁয়ে বেরিয়ে যায় বর্ষীয়ান নেতার। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিশ্বজুড়ে। ট্রাম্পের উপর হামলার ঘটনার নিন্দা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।