গোবিন্দ রায়: স্বামী-স্ত্রীর সাংসারিক বিবাদে সন্তানকে হাতিয়ার করা যাবে না। একটি মামলায় স্ত্রীকে সতর্ক করে স্পষ্ট জানিয়ে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ও বিচারপতি শুভেন্দু সামন্তর ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, স্ত্রী যদি এইভাবে সন্তানকে ঢাল করে স্বামীর বিরুদ্ধে চলা মামলার সুযোগ নিতে চান, তবে আদালত ছেড়ে কথা বলবে না। আদালতের পর্যবেক্ষণ, সন্তানের পূর্ণাঙ্গ বিকাশের ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের উভয়ের ভূমিকা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগে স্বামী-স্ত্রী এক ছাদের নিচে থাকে না। যার ফল ভুগতে হয় সন্তানকে। বর্তমান সময়ে এই বিচ্ছেদ বেড়ে যাওয়ায় চরম ভুক্তভুগী কোলের সন্তান।সামাজিক দিক থেকে তো বটেই, শারীরিক ও মানসিক উভয় দিক থেকেই শিশুর বিকাশে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিন তেমনই একটি মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। মামলায় স্ত্রী দাবি করেন, সন্তান আতঙ্কে থাকায় বাবার কাছে পাঠানো হয়নি। এখন তিনি সন্তানকে নিয়ে স্বামীর কাছে যেতে ইচ্ছুক। এবং থাকতেও চান। তাতেই বিরক্ত আদালত বলে, স্ত্রী বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেছেন, আবার সন্তানকে সামনে রেখে স্বামীর ঘরে যাবেন, এটা মানা যায় না। সন্তানকে সামনে রেখে স্ত্রী আবার নতুন নাটক করতে চাইলে সেটাও আদালত মানবে না।
এই মামলায় আদালতের আগের নির্দেশ ছিল, মায়ের কাছে সন্তান থাকবে। তবে বাবা নির্দিষ্ট সময় অন্তর সন্তানের সঙ্গে দেখা করে কথা বলতে পারবেন। তিনি যাতে দেখা করতে পারেন সেটা স্ত্রী দেখবেন। কিন্তু অভিযোগ, আদালতের নির্দেশের পরেও স্ত্রী সন্তানের সঙ্গে বাবাকে দেখা করাননি। বিরক্ত আদালত বলে, স্ত্রী হয়ে সন্তানের ভবিষ্যৎ না ভেবে একজন মা কীভাবে এটা করতে পারেন। ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট করে দিয়েছে, স্ত্রী সতর্কও না হলে সন্তানের দখল স্বামীর হাতে তুলে দেওয়া হবে।