সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: প্রায় দু’বছরের বেশি সময় ধরে জঙ্গলে থাকার পর চিতার (Cheetah) হানা এবার গৃহস্থবাড়িতে! এই ঘটনা উত্তরবঙ্গের কোনও বনবস্তি বা চা বাগান এলাকায় নয়, বরং পুরুলিয়া জেলায়। সোমবার রাত সওয়া ১০টা নাগাদ পুরুলিয়া বনবিভাগের কোটশিলা বনাঞ্চলের ঝাড়খণ্ড লাগোয়া সিমনি বিটের সিমনি গ্রামেই এমন ঘটনার সাক্ষী রইলেন এলাকার মানুষ।
একেবারে গ্রামের ভিতরে ঢুকে গিয়েছিল চিতাবাঘ। স্থানীয় বাসিন্দা অখিল কর্মকারের ঘরে ঢুকে তালাবন্ধ দরজার নিচের ফাঁক দিয়ে পা গলিয়ে গবাদি পশুকে টেনে আনার চেষ্টা করে সে। গবাদি পশুর শরীর ঝাপটানোর শব্দ, আর চিৎকার চেঁচামেচিতে বাড়ির লোকজন উঠোনে চলে আসেন। তারপরেই টর্চ জ্বালিয়ে চোখে পড়ে উঠোন জুড়ে চিতার পায়ের ছাপ। সেই সঙ্গে প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে পিলে চমকানো সেই গর্জন।
[আরও পড়ুন: প্রতারিত সলমন খান! কোন ফাঁদে পড়লেন বলিউডের সুলতান?]
গবাদি পশুর কোনও ক্ষতি করতে পারেনি চিতাবাঘটি। তবে তার গলায় থাকা নজরমালা ছিঁড়ে দেয়। গ্রামবাসীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে রাতেই বনকর্মীরা ওই গ্রামে যান। এলাকার বাসিন্দাদের অভয় দেন তাঁরা। সেই সঙ্গে হাতি তাড়ানোর কয়েকটি পটকা দিয়ে আসেন।
পুরুলিয়া বনবিভাগের ডিএফও কার্তিকায়েন এম বলেন, ‘‘জঙ্গল সংলগ্ন গ্রাম হওয়ায় চিতাবাঘ চলে আসছে। তবে আমাদের সতর্কতামূলক প্রচার চলছে। হচ্ছে মাইকিং। মানুষ যাতে কোনওভাবেই অন্ধকারে বের না হন তা গ্রামবাসীদের বলা হয়েছে। কোনও কিছুর খবর এলেই যাতে দ্রুত বনদপ্তরকে জানানো হয় সে বিষয়টিও আমরা বলেছি।’’ প্রসঙ্গত, চিতা ধরতে খাঁচাও পাঠানো হয়েছে পুরুলিয়ার কোটশিলা বনাঞ্চলের সিমনি বিটে।
[আরও পড়ুন: কোথায় শীত? মেঘলা আবহাওয়ায় জানুয়ারিতেই তাপমাত্রা প্রায় ২১ ডিগ্রি]