দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: জঙ্গল থেকে বেরিয়ে ১০ কিলোমিটার দূরের লোকালয়ে হাজির হল বাঘ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সন্দেশখালির মণিপুর পঞ্চায়েত এলাকায়। দক্ষিণরায়ের হানায় জখম হয়েছেন ১ জন। কিন্তু বাঘের এই ১০ কিলোমিটার পথ সফর অবাক করছে বনদপ্তরকেও। এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে বনদপ্তরের ভূমিকা নিয়েও।
রবিবার সকালে সন্দেশখালিতে রায়মঙ্গল নদীর পাশে একটি পূর্ণবয়স্ক বাঘকে ঘোরাফেরা করতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামের কয়েকজন লাঠি নিয়ে ছুটে যায় বাঘকে জঙ্গলে ফেরাতে। সেই সময় পালটা বাঘের হানায় জখম হন একজন। তারপর বাঘটি নদী সংলগ্ন একটি ঝোপের মধ্যে ঢুকে পড়ে। এদিকে খবর পেয়ে এলাকার মানুষরা ঘিরে ফেলেন ঝোপ।
[আরও পড়ুন: মগডালে চিতাবাঘ! নিচে মানুষের ঢল, রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর খাঁচাবন্দি শিলিগুড়ির ‘ত্রাস’]
এরপরই খবর দেওয়া হয় বনদপ্তরে। ইতিমধ্যেই বনদপ্তরের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। বাঘবন্দি করতে পাতা হয়েছে খাঁচা। এখনও হদিশ মেলেনি বাঘটির। এই বাঘটির যাত্রাপথ রীতিমতো চমকে দিয়েছে বনকর্মীদের। কারণ, বাঘটি ছিল ঝিলার জঙ্গলে। নদী সাঁতরে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে সন্দেশখালিতে পৌঁছেছে। মনে করা হচ্ছে, রায়মঙ্গল নদীর জোয়ারে ভেসে ওই এলাকায় পৌঁছে গিয়েছে দক্ষিণরায়। যাওয়ার পথে পড়েছে বেশ কয়েকটি গ্রাম। কিন্তু সেখানে যায়নি সে। তবে মণিপুর এলাকায় বাঘের পদচিহ্ন দেখে বনদপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সম্ভবত আরও দু-একদিন আগে ওই গ্রামে ঢুকেছে বাঘটি। কিন্তু কীভাবে বনদপ্তরের নজরদারি এড়িয়ে বাঘটি চলে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে তিনটি নদী পেরিয়ে ৭ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর ২ নম্বর ব্লকের ডোমকল এলাকায় প্রবেশ করেছিল দক্ষিণরায়। যা রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে এলাকায়। ফের কার্যত সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল।