সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলা ধারাবাহিকেও (Bengali serial) ওয়ার্ক ফ্রম হোম! করোনা রুখতে রাজ্যে কড়া বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ায় নিয়ম মেনে বেশ অনেকদিন ধরেই বন্ধ টলিপাড়ার (Tollywood) শুটিং। তবে এই অবস্থায় কাজ থেমে নেই। বাড়ি থেকেই ধারাবাহিকের শুটিং করছেন শিল্পীরা। শুটিংয়ের জন্য অনেকের বাড়িতেই প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম রয়েছে। তা দিয়েই কাজ চলছে এবং ছোটপর্দায় নতুন পর্ব সম্প্রচারিত হচ্ছে। কিন্তু স্টুডিওর কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কর্মহীন টেকনিশিয়ানরা। কারণ, বাড়িতে বসে শুটিংয়ের জন্য টেকনিশিয়ানদের আর প্রয়োজন হচ্ছে না। তাতেই তাঁরা ক্ষুব্ধ। বিকল্প ব্যবস্থার আবেদন জানিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (CM Mamata Banerjee) চিঠি লিখল তাঁদের সংগঠন ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ান অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া।
গত বছর লকডাউনের সময়ে বন্ধ হয়েছিল শুটিং (Shooting)। টলিপাড়া কোনও শুটিং হয়নি। পুরনো পর্ব দিয়ে ছোটপর্দার ধারাবাহিক সম্প্রচারিত করে স্লট ভরানো হচ্ছিল। কিন্তু তাতে বিস্তর লোকসান হয়। এরপর চলতি বছর প্রায় একই রকমের বিধিনিষেধ জারি হয়েছে এই মাসের গোড়া থেকে। এতদিন পর্যন্ত আগাম শুট করা পর্বগুলি সম্প্রচারিত হচ্ছিল। তবে বিধিনিষেধের মেয়াদ অর্থাৎ শুটিং বন্ধ থাকার মেয়াদ আৎও বাড়িয়েছে রাজ্য সরকার। ১৫ জুন পর্যন্ত স্টুডিওয় শুটিং করা যাবে না। এই অবস্থায় নতুন পর্ব সম্প্রচার করে ধারাবাহিক এগিয়ে নিয়ে যাওয়া কার্যত অসম্ভব। তাই কাজের জন্য নতুন পন্থা অবলম্বন করেছে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। বাড়ি থেকেই অভিনেতা, অভিনেত্রীরা নিজেদের অংশটুকু শুট করছেন। তারপর তা এডিট করে নতুন পর্ব তৈরি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে দু, একটি এই ধারাবাহিকের শুটিং এভাবে শুরু হয়েছে এবং সেসব পর্ব সম্প্রচারিতও হয়েছে। তবে পদ্ধতিতে গোড়া থেকেই আপত্তি ছিল ফেডারেশনের।
[আরও পড়ুন: বিহারের রাজনীতি কতটা তুলে ধরতে পারল হুমা কুরেশির ‘মহারানি’ সিরিজ? পড়ুন রিভিউ]
এবার এ আপত্তিতে মুখ্যমন্ত্রী চিঠি লিখল ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ান অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া। তাতে ফেডারেশনের সদস্যদের দাবি, এইভাবে শুটিং করার জেরে ধারাবাহিকের কাজ এগিয়ে চলেছে কিন্তু টেকনিশিয়ানদের কাজ বন্ধ, তাই তাঁরা টাকাও পাচ্ছেন না। এটা সম্পূর্ণভাবে এই কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত একপক্ষের প্রতি চরম অবহেলা। এ নিয়ে ফেডারেশন কর্তাদের মত, এই উপায়ে শুটিংয়ের তীব্র বিরোধিতা করা হচ্ছে। কাজের মানে অবনমন ঘটছে, এতে দর্শকরাও খুব একটা সন্তুষ্ট হবেন না। যদিও চ্যানেল কর্তৃপক্ষের মত, বাড়ি থেকে শুটিং করা যাবে না, চুক্তিতে এমন কোথাও বলা নেই। তাই এই কাজ চলতেই পারে। তাতে ধারাবাহিকের নতুন পর্ব সম্প্রচারিত হওয়ায় দর্শকরা তা উপভোগই করছেন বলে আশাবাদী তাঁরা। এখন এ নিয়ে রাজ্য সরকার কোনও হস্তক্ষেপ করে কি না, সেটাই দেখার।