চঞ্চল প্রধান ও রঞ্জন মহাপাত্র: ষষ্ঠ দফা ভোটের আগে রক্ত ঝরল নন্দীগ্রামে। প্রাণ গেল এক মহিলা বিজেপি কর্মীর। জখম আরও অন্তত ৮ জন। অভিযোগ, বুধবার গভীর রাতে সশস্ত্র বাইকবাহিনী হামলা চালায়। প্রতিবাদে নন্দীগ্রাম থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বিজেপি নেতাকর্মীরা। পথও অবরোধ করা হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত বিজেপি কর্মীর নাম রথিবালা আড়ি। সোনাচূড়ার বাসিন্দা। তাঁর ছেলে সঞ্জয় আড়ির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। জখম আরও ৭ জনের চিকিৎসা চলছে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। গোটা ঘটনার তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি।
[আরও পড়ুন: সিগন্যালিং সমস্যার জেরে সাতসকালে মেট্রো বিভ্রাট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা]
২৫ তারিখ ষষ্ঠ দফা ভোট বঙ্গে। ভোটগ্রহণ হবে তমলুক লোকসভা কেন্দ্রেও। নির্বাচনের তিনদিন আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠল অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বনাম দেবাংশু ভট্টাচার্যের 'কুরুক্ষেত্র'। জানা গিয়েছে, ভোট প্রচারের শেষলগ্নে সোনাচূড়ার মনসাপুকুর বাজার এলাকায় রাত পাহারা দিচ্ছিলেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। সেই সময়ই রাত ২টো নাগাদ সশস্ত্র বাইক বাহিনী ওই বিজেপি কর্মীদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। ধারালো অস্ত্রের এলোপাথাড়ি কোপে রথিবালা আড়ি রক্তাক্ত হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। মাকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম হন ছেলেও। সবমিলিয়ে প্রায় ৮ জন আহত বলে খবর। খবর পেয়েই এলাকার বাসিন্দারা ছুটে এলে দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয়। গ্রামবাসীরা আহতদের উদ্ধার করে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মহিলাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রথীবালার ছেলের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় পাঠানো হয়।
ঘটনাপ্রসঙ্গে নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা মেঘনাদ পাল জানান, “তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা ভোটের মুখে এলাকাকে সন্ত্রস্ত করতে এই হামলা চালিয়েছে।" তাঁর অভিযোগ, “বুধবারই নন্দীগ্রামে সভা করতে এসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বঁটি নিয়ে হামলার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তাঁর সভার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই বিজেপি কর্মীদের ওপর যেভাবে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়েছে তা ন্যক্কারজনক।" যদিও বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া মেলেনি। স্থানীয় নেতাকর্মীদের দাবি, বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলেই এই ঘটনা। এদিকে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোক্ষ দেখাচ্ছে বিজেপি নেতাকর্মীরা। রাস্তায় গাছ ফেলে, আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভে শামিল এলাকার বাসিন্দারাও।\