সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় মোকা উপকূলে আছাড় খেয়েই তছনছ মায়ানমারের বিস্তীর্ণ এলাকা। ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন তিনজন। ঘরছাড়া হাজার হাজার মানুষ। জারি সতর্কতা।
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়ে কী প্রভাব পড়বে বাংলায়? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছিল ক’দিন ধরে। তবে তা দিক পরিবর্তন করে বাংলাদেশ ও মায়ানমারের দিকে চলে যাওয়ায় এ রাজ্যে সেভাবে চোখ রাঙাতে পারেনি। কিন্তু মোকার (Cyclone Mocha) ভয়াবহতার সাক্ষী রইল মায়ানমার। রবিবার দুপুরে সে দেশের রাখিনিতে আছড়ে পড়ে মোকা। প্রবল বৃষ্টির পাশাপাশি ঘণ্টায় ২০৯ কিলোমিটার বেগে ঝড় ওঠে। বহু বাড়ি-ঘর, স্কুল বাড়ি ভেঙে পড়েছে বলেও খবর। সাধারণ মানুষকে নিরাপদে রাখার জন্য আগেই ব্যবস্থা করেছিল প্রশাসন। তা সত্ত্বেও এই ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়ে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ধরাশায়ী ধোনি অ্যান্ড কোং, আর আর আরে’র যুগলবন্দিতে চিপকের রাত নাইটদের]
মায়ানমার সেনার তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে বহু ট্রান্সফর্মার উড়ে গিয়েছে। ভেঙে পড়েছে একাধিক এলাকার মোবাইল টাওয়ার, ল্যাম্পপোস্ট। কোকো আইল্যান্ডের স্পোর্টস বিল্ডিংয়ের ছাদ উড়ে গিয়েছে। সাইক্লোন মোকার বেশ কিছু ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানেই দেখা যাচ্ছে এর ভয়াবহতা। কীভাবে ঝড়ের দাপটে মোবাইল টাওয়ার ভেঙে পড়ছে, সে দৃশ্যও ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। সরকারি ভাবে এখনও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ স্পষ্ট না হলেও বিপুল ক্ষতির আশঙ্কাই করছে মায়ানমার প্রশাসন।