সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খেলা চলাকালীন বিশৃঙ্খলা। রিজার্ভ বেঞ্চের ফুটবলারদের মাঠে ঢুকে পড়া। বিপক্ষ ফুটবলার এবং কোচদের গালাগালি। এবং সবশেষে রেফারির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইলনাল জিতলেও সেমির আগে বিতর্কে জর্জরিত আর্জেন্টিনা (Argentina) শিবির। পরিস্থিতি এত দূর গড়িয়ে গিয়েছে যে, ফিফার শাস্তির মুখেও পড়তে হতে পারে আর্জেন্টিনাকে। ফিফা (FIFA) আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে কড়া শাস্তি হতে পারে মেসিদের।
আসলে আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস কোয়ার্টার ফাইনাল (Quarter Final) ম্যাচটি ছিল বিশ্বকাপে স্মরণাতীতকালের সবচেয়ে বিতর্কিত ম্যাচ। বিতর্কের অন্যতম কারণ স্প্যানিশ রেফারি মাতেউ লাহোজ। গোটা ম্যাচে মোট ১৬টি হলুদ কার্ড দেখান তিনি। এই ধরনের বড় ম্যাচে শুরু থেকেই ফুটবলারদের নিয়ন্ত্রণ করেন রেফারিরা। সেটা করতে গিয়ে ল্যাজেগোবরে হয়ে যান স্প্যানিশ রেফারি। উলটে তাঁর আচরণে ক্ষোভ বাড়তে থাকে আর্জেন্টিনার। সেই রাগ গিয়ে পড়ে বিপক্ষ ফুটবলারদের উপরে।
[আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! চলন্ত গাড়ি থেকে দুধের শিশুকে ছুঁড়ে ফেলে মাকে যৌন হেনস্তা]
এক সময় আর্জেন্টিনা এবং নেদারল্যান্ডসের রিজার্ভ বেঞ্চের সদস্যরা একে অপরের বিরুদ্ধে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। আর্জেন্টিনার মার্কোস আকুনা একটি ফাউল মানতে না পেরে সপাটে নেদারল্যান্ডসের রিজার্ভ বেঞ্চের দিকে শট মারেন। তার পরেই দু’দলের ফুটবলারদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়। এমনকী বরাবরের শান্ত স্বভাবের মেসিও ঝামেলায় জড়ান। নেদারল্যান্ড কোচকে গালিগালাজ করেন বলেও অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: সংসদে ফের কংগ্রেস-তৃণমূল সুসম্পর্ক! খাড়গের ডাকা বৈঠকে সুদীপ, সৌজন্য দেখালেন অধীরও]
ফিফা সূত্রের খবর, কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা এবং নেদারল্যান্ডস দু’দলের বিরুদ্ধেই শৃঙ্খলাভঙ্গ করার অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি ভাল ভাবে নিচ্ছে না বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এমনিতে যে কোনও ম্যাচে কোনও দল পাঁচের বেশি হলুদ কার্ড দেখলেই তাঁদের জরিমানা করা হয়। সেই জরিমানার অঙ্কটা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা। নেদারল্যান্ডস ম্যাচের জন্য মেসিদের (Leo Messi) সেই জরিমানা গুণতেই হবে। সেই সঙ্গে অন্য কোনও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তি বাড়তে পারে আর্জেন্টিনার। তবে, সেই শাস্তির কথা কবে জানানো হবে, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।