ডেনমার্ক: ০
টিউনিশিয়া: ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি ফিরলেন, তিনি খেললেন, তবে জয় করা হল না। দেশের জার্সিতে মাঠে ফিরেছিলেন চলতি বছরের গোড়াতেই। মঙ্গলবার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে বিশ্বকাপের আসরে নামলেন মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে আসা ক্রিশ্চিয়ান এরিকসন। ফের ডেনমার্কের ১০ নম্বর জার্সি গায়ে মাঠে দাপিয়ে বেড়াতে দেখা গেল তাঁকে। কিন্তু এরিকসনের প্রত্যাবর্তনের ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখতে পারল না ডেনমার্ক। টিউনিশিয়ার বিরুদ্ধে তাঁদের ম্যাচ শেষ হল গোলশূন্যভাবেই।
গত বছর ইউরো কাপে (Euro Cup 2021) ফিনল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে মাঠে অচেতন হয়ে পড়েন এরিকসন। হৃৎপিন্ড মুহূর্তের জন্য বন্ধ হয়ে যায় ডেনমার্কের (Denmark) ১০ নম্বর জার্সিধারীর। আদৌ তাঁকে বাঁচানো যাবে কিনা সংশয় তৈরি হয়ে যায়। প্রায় সপ্তাহখানেক হাসপাতালে থাকতে হয় এরিকসনকে। তারপরও দীর্ঘদিন এরিকসনকে থাকতে হয়েছে পর্যবেক্ষণে। তাঁর মাঠে ফেরা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় ছিল। তাঁর ক্লাব ইন্টার মিলানও তাঁর সঙ্গে চুক্তি ছিন্ন করে নেয়।কিন্তু এরিকসন অন্য ধাতুর তৈরি। তিনি মাস কয়েকের মধ্যেই মাঠে ফেরেন। প্রথমে ইংল্যান্ডের অখ্যাত এক ক্লাবের সঙ্গে মাস ছ’য়েকের চুক্তি করেন। স্রেফ পরিশ্রমের জোরে ফের নিজের পুরনো ঝলকে ধরা দেন এরিকসন।
[আরও পড়ুন: মেসির আটকে যাওয়া নাকি রক্ষণের দুর্বলতা, কেন হারল আর্জেন্টিনা? রইল ৫ কারণ]
এ বছর জানুয়ারি মাসে ফের জাতীয় দলের হয়ে ডাক পান তিনি। সেরা ফর্মের এরিকসন ফিরে আসতেই ডাক আসে বড় ক্লাবের। চলতি মরশুমের শুরুতে তিনি যোগ দেন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে। এখনও ম্যান ইউয়ের হয়েই খেলছেন তিনি। মঙ্গলবার সরকারিভাবে তাঁর প্রত্যাবর্তন হল বিশ্বকাপের মঞ্চে। কিন্তু প্রত্যাবর্তনের ম্যাচ যতটা মধুর হবে ভেবেছিলেন এরিকসন, ততটা হয়তো হল না। শত চেষ্টাতেও অপেক্ষাকৃত দুর্বল টিউনিশিয়াকে হারাতে পারল না এরিকসনের ডেনমার্ক (Denmark)।
[আরও পড়ুন: FIFA World Cup 2022: কাতারে মহা অঘটন, আরবের মরুঝড়ে তছনছ মেসির আর্জেন্টিনা]
এদিনের ম্যাচে নামার আগে ধারেভারে অনেকটাই এগিয়ে ছিল ডেনমার্ক। কিন্তু মরণপণ জেদ নিয়ে মাঠে নেমেছিল টিউনিশিয়া (Tunisia)। ডেনমার্কের সব প্রশ্নের জবাব যেন তৈরি ছিল তাঁদের কাছে। শুধু রক্ষণ নয়, পালটা আক্রমণে আঘাত হানারও চেষ্টা করেছে টিউনিশিয়া। সাফল্য তারাও পায়নি। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য খেলাটা একপেশে হয়েছে। শুধু ডেনমার্কের আক্রমণ আর টিউনিশিয়ার রক্ষণ। আর মাঝে মাঝে চিনের প্রাচীরের ভূমিকায় টিউনিশিয়ার গোলরক্ষক। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে হয়তো এরিকসনই নিজের দলকে জিতিয়ে দিতে পারতেন। বক্সের বাইরে থেকে তিনি যে অনবদ্য শটটি নিয়েছিলেন, সেটাও কোনওক্রমে বাঁচিয়ে দেন গোলরক্ষক। ইনজুরি টাইমেও অনবদ্য একটি সেভ করেন তিনি। মূলত তাঁর জন্যই গোলশূন্যভাবে শেষ হয় খেলা।