আকাশ মিশ্র: শাহরুখ খানকে নিয়ে 'জওয়ান' তৈরি করে বক্স অফিসকে হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছিলেন পরিচালক অ্যাটলি। বাবা ও ছেলের গল্পকে মারকাটারি রূপে পর্দায় এনে অ্য়াটলি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, পুরনো ওয়াইন নতুন বোতলে ভরে কীভাবে বেচতে হয়। বরুণ ধাওয়ানের 'বেবি জন' ছবিও প্রায় এরকমই। তফাৎ শুধু পরিচালনায়। কেননা, এই ছবিতে অ্যাটলি শুধুই প্রযোজক। পরিচালক হলেন ক্যালিস। আর ক্যালিসের হাত দিয়ে পর্দায় যে যা তৈরি হল, তাকে সহজ ভাষায় বলা যায় পরিকল্পিত অত্যাচার! তবে এই ছবির আসল ম্যাজিক হলেন খলনায়ক অবতারে জ্যাকি শ্রফ। বলা ভালো ছবির পুরো নজরটাই কেড়ে নিলেন তিনি।
'বেবি জন', বাবা ও মেয়ের সম্পর্কের গল্পের উপর দাঁড়িয়ে। তবে সঙ্গে যোগ হয় এক দাবাং পুলিশ অফিসার সত্য বর্মা। যিনি দুষ্ট দমনে বেবি জন হয়ে ওঠেন। কেন এই ছদ্মবেশ? কেন তাঁর জীবনে প্রেম থেকেও, নেই? কেন মেয়েকে নিয়ে একাই সংসার ধর্ম পালন করেন? মারাত্মক অ্যাকশন আড়াই ঘণ্টা ধরে এসব প্রশ্নেরই উত্তর খোঁজে বরুণের এই ছবি।
ছবির গল্পে নতুন কোনও স্বাদ নেই। মেকিংও 'জওয়ান' স্টাইলের। এমনকী, বিজয় অভিনীত থেরি ছবির স্বাদকেও রিমেকে ধরা যায়নি। বরুণের ভাবলেশ অভিব্যক্তি ছবিকে আরও বেশি বিরক্তিকর করে তোলে। বিশেষ করে, নারী পাচার, ধর্ষণের মতো সামাজিক ব্যধি গল্পে এসে পড়ায়, চিত্রনাট্য আরও বেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। সব মিলিয়ে বেবি জন আড়াই ঘণ্টার মাথা ব্যথা ছাড়া কিছুই নয়। তবে শুধু ভালো লাগে এই ছবি আবহসঙ্গীত। তবে এই ছবি কিন্তু সবশেষে মাস্টারস্ট্রোক দেয়। ছবির ক্লাইম্য়াক্সে সলমনের এন্ট্রি এই ছবিকে কিছুটা হলেও গ্ল্যামার দিয়েছে। অন্তত, সলমন ভক্তরা এই কারণেই ছবিটা দেখতে পারেন। অ্যাকশন ছবি ছাড়া পছন্দ করেন, তাঁরাও বেবি জন দেখতে পারেন। বাদ বাকি এই ছবি মিস করলে খুব একটা বড় ক্ষতি হবে না।