shono
Advertisement
Alipore zoo

মায়ের অবহেলা, শত চেষ্টার পরও মারা গেল আলিপুরের নবজাতক জিরাফ

সন্তানের প্রতি আশার এহেন আচরণে কর্তৃপক্ষও চিন্তিত।
Published By: Amit Kumar DasPosted: 02:47 PM Mar 12, 2025Updated: 02:47 PM Mar 12, 2025

নিরুফা খাতুন: জন্মের পর থেকে মায়ের অবহেলা। অকালে চলে গেল আলিপুর চিড়িয়াখানার নবজাতক জিরাফ। দিন পনেরো আগে আলিপুর চিড়িয়াখানার জিরাফ আশার ফুটফুটে এক সন্তান জন্মেছিল। নতুন অতিথিকে নিয়ে আনন্দের শেষ ছিল না চিড়িয়াখানায় কর্মী-আধিকারিকদের। সোমবার মারা গেল সেই জিরাফ শাবক। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও আশার আর একটি সন্তান হয়েছিল। সেও ঠিক এভাবে মায়ের অযত্নে প্রাণ হারিয়েছিল।

Advertisement

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে জিরাফ শাবকটি জন্মায়। সুস্থ সন্তানকেই জন্ম দিয়েছিল মা আশা। কিন্তু জন্মের পর থেকে হঠাৎ মায়ের আচরণে পরিবর্তন হয়। চিড়িয়াখানা সূত্রে খবর, নিজের সন্তানকে জন্মের পর দেখভাল করছিল না মা। দুধও দিচ্ছিল না। কর্তৃপক্ষই ফিডিং বোতল দিয়ে শাবককে দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করে। শাবকটি ওই দুধ খেতে চাইছিল না। অনেক চেষ্টা করা হয়েছে যাতে সে মাতৃদুগ্ধ পায়, মায়ের যত্ন পায়। কিন্তু মা কোনও মতেই সন্তানকে দেখভালের দায়িত্ব নিতে চাইছিল না। মায়ের অবহেলায় শাবকটি অকালে চলে যায়।

আলিপুর চিড়িয়াখানায় জিরাফের সংখ্যা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। অন্যান্য চিড়িয়াখানা থেকে প্রাণী বিনিময়ের ক্ষেত্রেও আলিপুর থেকে জিরাফের চাহিদা থাকে বেশি। কারণ, দীর্ঘদেহী এই প্রাণীটি দেশের বাকি চিড়িয়াখানাগুলিতে বেশি নেই। সেই বিনিময়ের কারণে আলিপুরেই কিছুটা কমে গিয়েছিল জিরাফের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে জিরাফের বংশবিস্তারে চিড়িয়াখানায় জিরাফের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছিল ১০, যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। নবজাতককে বাঁচাতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখা হয়নি। জিরাফ হাউস থেকে সরিয়ে মা ও সন্তানের জন্য আলাদা ব্যবস্থাও করা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত মায়ের অবহেলাতেই প্রাণ গেল নবজাতকের। বারবার সন্তানের প্রতি আশার এহেন আচরণে কর্তৃপক্ষও চিন্তিত। সেজন‌্য চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিচ্ছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • জন্মের পর থেকে মায়ের অবহেলা।
  • অকালে চলে গেল আলিপুর চিড়িয়াখানার নবজাতক জিরাফ।
  • দিন পনেরো আগে আলিপুর চিড়িয়াখানার জিরাফ আশার ফুটফুটে এক সন্তান জন্মেছিল।
Advertisement