সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনা! কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকারের অন্যতম সফল প্রকল্প হিসাবে পরিগণিত হয় এই প্রকল্প। গরিব নাগরিকদের ব্যাঙ্কের দুয়ারে আনায় এই প্রকল্পের ব্যাপক সাফল্য দাবি করে বহুবার বুক বাজিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। অথচ, সেই জনধন যোজনাতেই এবার বিরাট গরমিলের অভিযোগ।
তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জওহর সরকারের দাবি, এই জনধন যোজনাও ভুলে ভরা। এতে বিরাট দুর্নীতি হয়েছে। প্রমাণ হিসাবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের দেওয়া একটি তথ্যও তুলে ধরেছেন তিনি। তৃণমূল সাংসদ কেন্দ্রের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনার (Jan Dhan Yojona) আওতায় খোলা অ্যাকাউন্টগুলির মধ্যে কতগুলি অ্যাকাউন্ট নিস্ক্রিয়? ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে কী পরিমাণ টাকা জমা ছিল?
[আরও পড়ুন: ‘সোনিয়াকে প্রণাম, খাড়গেকে নয়! দলিত বলেই?’ তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা বিজেপির]
জওহরের প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী ভগবত কারাদ স্বীকার করে নিয়েছেন জনধন যোজনার আওতায় খোলা মোট অ্যাকাউন্টের ১৮-২০ শতাংশ নিষ্ক্রিয় বা ‘নিখোঁজ’। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনায় যে ৫০ কোটি ৮১ লক্ষ জিরো ব্যালেন্সের অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল, তার মধ্যে প্রায় ১০ কোটিই এখন নিস্ক্রিয়। হয় ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে দীর্ঘদিন কোনওরকম লেনদেন হয়নি, নাহয় এই অ্যাকাউন্টগুলির মালিকদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
[আরও পড়ুন: গেরুয়া ঝড়ের রেশেই ফের কামাল, আবার সর্বকালের রেকর্ড উত্থান সেনসেক্সের]
শুধু তাই নয়, কেন্দ্র মেনে নিয়েছে, ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে এখনও ১১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা জমা রয়েছে। সচরাচর জনধন অ্যাকাউন্টে কেন্দ্রীয় বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা জমা পড়ে। জওহর সরকার তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী ভগবত কারাদের দেওয়া জবাব পোস্ট করে বলছেন, সরকারের মন্ত্রীরা যখন জনধন যোজনার সাফল্য নিয়ে বুক বাজাচ্ছেন, তখন এই জনধন অ্যাকাউন্টগুলিতে সরকারি প্রকল্পেরই এই বিরাট অঙ্কের টাকা জমা পড়ে আছে। যার কোনও দাবিদারই নেই! স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এই অ্যাকাউন্টগুলি কাদের? যদি এই অ্যাকাউন্টগুলি গরিব নাগরিকদের হয়, তাহলে তাঁদের ব্যাঙ্কিং পরিষেবার আওতায় রাখা গেল না কেন?