অভিরূপ দাস: সরকারি হাসপাতালে ভরতির নামে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ। এই ঘটনায় নাম জড়াল নির্মল মাজির (Nirmal Maji)। যদিও এই ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই বলেই জানিয়েছেন নির্মলবাবু।
জানা গিয়েছে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের চুক্তিভিত্তিক কর্মী রাজু মহেশ। তাঁ স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। গত আটমাস ধরে স্ত্রীর চিকিৎসা চলছিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকর রাজেশ বিশ্বাসকের তত্বাবধানেই। অভিযোগ, শেষ মুহূর্ত ওই চিকিৎসক জানায় মহিলার শারীরিক অবস্থা বেশ জটিল। বাচ্চাটিকে বাঁচাতে গেলে বেসরকারি হাসপাতালে সিজার করতে হবে। রাজুর বক্তব্য, তিনি সামান্য মাইনে পান। ফলে তাঁর পক্ষে বেসরকারি হাসপাতালে স্ত্রীর অস্ত্রোপচার করানো সম্ভব নয়। রাজুর দাবি, বিষয়টি ডা. বিশ্বাসকে জানালে বলাতে উনি বলেন নির্মল মাজি ব্যবস্থা করে দেবেন।
[আরও পড়ুন: তপন কান্দু হত্যাকাণ্ড: ঝালদা থানার IC-কে আপাতত ‘অব্যাহতি’, নজরদারিতে এসডিপিও]
অভিযোগ, এরপর ডাফরিন হাসপাতালে রাজুর স্ত্রীকে ভরতি করানোর কথা বলে ১২ হাজার টাকা নেয় চিকিৎসক রাজেশ। রাজু জানতেনও লেডি ডাফরিন একটি সরকারি হাসপাতাল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্য নীতি মেনে কোনও সরকারি হাসপাতালেই সিজারের খরচ লাগে না। বুধবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে রাজু সহকারি কর্মচারীদের টাকা দেওয়ার বিষয়টি জানান। এরপর তাঁরাই বলে, সরকারি হাসপাতাল সেখানে ভরতি করতে কোনওভাবেই টাকা লাগার কথাই নয়। বিশেষ করে যেখানে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড রয়েছে।
এরপরই ডাফরিনে ছোটেন রাজু। তাঁর কথায়, “চিটিংবাজ ওই চিকিৎসককে দিয়ে আমি স্ত্রীর অস্ত্রোপচার করাব না। ওই চিকিৎসকের কাছে ইতিমধ্যে টাকা ফেরত চেয়েছেন তিনি। অভিযোগ, টাকা ফেরত চাইতেই ওই চিকিৎসক তাঁকে হুমকি দিচ্ছে। মুচিপাড়া থানায় চিকিৎসকের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ডা. নির্মল মাজির বক্তব্য, “আমি কোনওভাবেই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নই। আমার নাম করে কেউ মিথ্যে কথা বলছে।”