সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সপ্তমীতে নবান্নে (Nabanna)অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ছড়িয়ে পড়ল আতঙ্ক। মোবাইল টাওয়ারে শর্টসার্কিট বিপত্তি ঘটেছে বলে প্রাথমিক অনুমান। রাজ্যের মূল প্রশাসনিক দপ্তরের ১৪ তলায় আগুনের (Fire) ঘটনা নজরে আসে দুপুর ১২টার খানিক পরে। খবর পেয়ে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন পূর্ত দপ্তরের আধিকারিকরা এবং দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। যৌথ তৎপরতায় অতি দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। যদিও এই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে ঘটনাস্থলে পৌঁছন ডিজি, ফায়ার। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী।
দমকল সূত্রে খবর, নবান্নে মোবাইল টাওয়ারের ভোডাফোনের যন্ত্রাংশ যেখানে ছিল, সেখান থেকেই আগুন লাগে। খবর পেয়েই ছুটির দিনেও পূর্ত দপ্তরের প্রধান সচিব, চিফ ইঞ্জিনিয়ার-সহ আধিকারিকরা ছুটে আসেন। দমকল আসার আগেই তাঁরাই আগুন নেভানোর কাজে হাত দেন এবং সমস্ত পরিস্থিতি তদারকি করেন।
নবান্নের ধোঁয়া দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পথচলতি মানুষজন। সঙ্গে সঙ্গে খবর পাঠানো হয় দমকল বিভাগে। ডিজি, ফায়ার নিজে নবান্নে উপস্থিত হন। পুজোর ছুটির দিনে রাজ্যের মূল প্রশাসনিক ভবনে এহেন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সকলেই তৎপর হয়ে ওঠেন।
[আরও পড়ুন: সপ্তমীর দিন উত্তরবঙ্গ সফরে গেলেন রাজ্যপাল, ২ সপ্তাহ কাটাবেন পুজোর ছুটি]
সাধারণত নবান্নের ১৩ তলার কার্যালয় বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তবে পুজোর ছুটিতে গোটা নবান্নই বন্ধ। তাই বড়সড় বিপদ থেকে রক্ষা মিলেছে। নইলে আরও বড় ক্ষতির আশঙ্কা ছিল। নবান্নের মতো হাই সিকিউরিটি জোনে কীভাবে আগুন লাগল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। পূর্ত দপ্তরকে ফায়ার অডিটের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর।