সুকুমার সরকার, ঢাকা: রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিকাণ্ডের নেপথ্যে নাশকতার আঁচ! দেশের প্রধান বিরোধীদল বিএনপি-র দাবি, সরকারের ব্যর্থতার জন্যই এসব ঘটছে। প্রাক্তন শাসকদল জাতীয় পার্টি নেতা জিএম কাদের বলেছেন, এর তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। শাসকদল আওয়ামি লিগ অবশ্য এই ঘটনার নেপথ্যে বিএনপি ও জামাতের হাত রয়েছে বলে দাবি করেছে।
উল্লেখ্য, শনিবার বিকেলে চট্টগ্রামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ১৬ ঘণ্টা পার না হতেই ঢাকার সায়েন্স ল্যাবে আগুন লাগে। এরপর রবিবার কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী ১১ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকলের ১০টি ইউনিটের পাশাপাশি কাজ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান ও উখিয়া থানা পুলিশ।
৮ এবিপিএনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, হঠাৎ করে বালুখালীর ১১ নম্বর ক্যাম্পে আগুন দেখা যায়। কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ক্যাম্পের ঘরগুলো পাশাপাশি হওয়ায় আগুন ১১, ১০ ও ৯ নম্বর ক্যাম্পে ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উখিয়া রোহিঙ্গা শিবিরে দুই হাজারের বেশি বাড়িঘর পুড়ে যায়। এরমধ্যে বেশকয়েকটি হাসপাতাল ও দোকান রয়েছে।
[আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহ থেকেই বাংলাদেশে পাইপলাইনে ডিজেল রপ্তানি শুরু, যৌথ উদ্বোধন মোদি-হাসিনার]
এদিকে, চট্টগ্রাম ও ঢাকায় অগ্নিকাণ্ডে সরকারের ব্যর্থতা দেখছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির। তিনি বলেন, বিস্ফোরণের কারণ খুঁজে বের করতে হবে। সরকার ব্যর্থ হওয়ার কারণে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও ব্যর্থ হচ্ছে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, “পঞ্চগড়েও চরম একটা সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটানো হয়েছে। দু’জন নিহত হয়েছে, দোকান-পাট বাড়িঘর লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। আমাদের প্রশ্ন যে, এই ধরনের একটা বিতর্কিত বিষয় নিয়ে সরকার চুপ করে থাকলো কেন? সেখানে সমাবেশ করা অনুমতিই বা দেওয়া হলো কেন বা পরবর্তীকালে যখন আক্রমণ হয়েছে তখন পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেটা দেখল কেন, সেটাকে তারা প্রতিহত করতে সক্ষম হলো না কেন? এই যে সাম্প্রদায়িক সমস্যা সৃষ্টি করা, বিভেদ সৃষ্টি করা-এটা সরকার সৃষ্টি করছে। আমরা মনে করি তারা অত্যন্ত অসৎ উদ্দেশ্যে কাজ করছে।”