কলহার মুখোপাধ্য়ায়, বিধাননগর: ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড লেকটাউনের (Lake Town) সিনেমা হলে। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ বিখ্যাত প্রেক্ষাগৃহ ‘মিনি জয়া’য় দাউদাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। দ্রুত আগুন (Fire) ছড়াতে থাকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। ধীরে ধীরে ইঞ্জিনের সংখ্যা আরও বাড়তে থাকে। ভিতরে এক মহিলা আটকে ছিলেন। তাঁকে দ্রুত বাইরে বের করে আনা হয়। জখম হয়েছেন তিনি। আরও একজনের আহত হওয়ার খবর মিলেছে। কীভাবে আগুন লাগল, তা এখনও জানা যায়নি। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত ‘মিনি জয়া’ এবং লাগোয়া ‘জয়া’ – ২ টি সিনেমা হলই। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ চলছে বলে খবর।
দমকল সূত্রে খবর, সিনেমা হলের পাশে একটি বিউটি পার্লারই সম্ভবত আগুনের উৎস। অগ্নিকাণ্ডের জেরে সিনেমা হলের দারোয়ান এবং তাঁর স্ত্রী আহত হয়েছেন বলে খবর। স্ত্রীর শরীরের ৮০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছে। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সিনেমা হল বন্ধ থাকায় বেশি আহতের সংখ্যা বেশি হয়নি বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আগুন নিয়ন্ত্রণে দমকল কর্মীরা আপ্রাণ চেষ্টা করেন। তবে আশঙ্কা ছড়িয়েছে। কারণ, লেকটাউনের এই এলাকা জনবহুল এবং ঘিঞ্জি। তাই আগুন আশেপাশে ছড়িয়ে পড়া এবং আরও বেশি ক্ষতি হওয়ার প্রবল আশঙ্কা। তা এড়াতে এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: টিকা নেওয়ার পর বেঁকে গেল মুখ! হাওড়ার মহিলাকে পরীক্ষা করে কী বলছেন চিকিৎসকরা?]
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি জানান, বড়সড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসতে একটু সময় লাগবে। তবে যাতে বিপদ আরও না বাড়ে, তার জন্য সমস্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এমনিতেই অতিমারী পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর মাঝে খুলে গিয়েছিল রাজ্য়ের সিনেমা হলগুলি। আবার মে মাসের গোড়া থেকে করোনা বিধির জেরে তা বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় সিনেমা হলগুলির রক্ষণাবেক্ষণ একটা বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার জেরেই সম্ভবত ‘মিনি জয়া’য় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। আর এর জেরে এই প্রেক্ষাগৃহ ফের চালু হতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় ঘনিয়েছে।