অর্ণব আইচ: ফায়ার লাইসেন্স (Fire License) পাইয়ে দেবেন – এই প্রলোভন দেখিয়েই এলাকাবাসীকে প্রভাবিত করতেন। আর তাঁদের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করতেন। এভাবেই নিজের সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছিলেন ৬৪ লক্ষ টাকা। তবে এমন কুকীর্তি করে সম্পত্তি আর ভোগ করতে পারলেন না বনগাঁর দমকলের ওসি (OC) দেবাশিস হালদার। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি মামলায় বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেপ্তার করল রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখা। ব্যাঙ্কশাল আদালতে তাকে পেশ করা হয়েছে এদিন।
একে একে ৬৪ লক্ষ টাকা। স্রেফ দমকল বিভাগে (Fire Department)চাকরি করেই এত টাকা আয়! চক্ষুচড়ক গাছ হয়ে গিয়েছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের। ডায়মন্ড হারবারের দমকল বিভাগে কাজ করাকালীন ফায়ার লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করেছিলেন দেবাশিস হালদার। এরপর চাকরিসূত্রে ২০১৮ সালে তিনি চলে যান বনগাঁয়। তবে ডায়মন্ড হারবারের (Diamond Harbour) সম্পত্তি পড়েই ছিল। তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে সরকারি আবাসনে ছিলেন। সেখানে তল্লাশি চালান রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকরা। হদিশ পান বিপুল সম্পত্তির। এছাড়া তল্লাশি চলে তাঁর উত্তরবঙ্গের বাড়িতেও।
[আরও পড়ুন: গরমের ছুটি নিয়ে সংঘাত! উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য ঘোষণার দাবি শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়কের]
ডায়মন্ড হারবারের সম্পত্তি নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় আগেই রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকরা মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলার সূত্র ধরেই ২ বছর আগে থেকে তল্লাশি শুরু হয়। শেষমেশ বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সূত্রের খবর, তল্লাশি চালিয়ে তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর ব্যাংকের নথিপত্র। তাতেই ধরা পড়েছে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন সম্পত্তির হদিশ। এরপর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় বক্তব্যে প্রচুর অসংগতি থাকায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দুর্নীতি দমন শাখার সূত্রে খবর। আরও কোথায় এমন বেআইনি সম্পত্তি রয়েছে তাঁর, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ‘স্কুলে বাইবেল-কোরান পড়ানো যাবে না, গীতা সব কিছুর ঊর্ধ্বে’, কর্ণাটকের মন্ত্রীর মন্তব্যে বিতর্ক]