স্টাফ রিপোর্টার: আর্থিকভাবে স্বচ্ছল নন, এমন মানুষদের বাড়ি দেয় সরকার। সেই বাড়ি বিক্রি করে দিচ্ছেন কেউ কেউ। যা নিয়ে তুমুল সরগরম কলকাতা পুরসভা। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ‘বাংলার বাড়ি’ (Banglar Bari) প্রকল্পের বাড়ি কেনা-বেচার খবরে ক্ষুব্ধ কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা রাজ্যের পুর নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
উল্লেখ্য, ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে বাড়ি তৈরি করতে টাকা দেয় রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, এই প্রকল্পে বাড়ি তৈরির জন্য তিন লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা খরচ হয়। এর মধ্যে কেন্দ্র সরকার দেড় লক্ষ টাকা, উপভোক্তা ২৫ হাজার টাকা ও বাকিটা রাজ্য সরকার দেয়। থাকতে দেওয়া হলেও এ বাড়ির মালিক রাজ্য সরকার। লিজ ভিত্তিতে পনেরো বছরের জন্য থাকতে হয় উপভোক্তাকে। নিয়ম অনুযায়ী তাঁর ছেলে অথবা মেয়ে থাকলে উত্তরাধিকার সূত্রে তিনি পাবেন। নয়তো উপভোক্তা মারা গেলে ফের বাড়ি রাজ্য সরকারের আওতায়।
[আরও পড়ুন: ফোকাস অযোধ্যাই! রাম মন্দির উদ্বোধনের আগেই খুলে যাবে বিমানবন্দর]
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, সম্প্রতি ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের কয়েকটি বাড়ি বিক্রি হয়েছে। কেউ কেউ মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছে এসে জানতে চেয়েছেন, ‘‘বাংলার বাড়ি কি কেনা যায়? কোনও সমস্যা নেই তো?’’ মেয়র ফিরহাদ হাকিম এদিন জানিয়েছেন, ভুলেও বাংলার বাড়ি প্রকল্পের বাড়ি কিনবেন না। বিপদে পড়বেন। মেয়রের কথায়, যাঁদের বাংলার বাড়ি প্রকল্পে বাড়ি করে দেওয়া হয়েছে তাঁদের আঁধার কার্ডের সম্পূর্ণ তথ্য সরকারের কাছে আছে। এই বাড়ি বিক্রি করা যায় না। তা গর্হিত অপরাধ। যাঁরা কিনবেন তারা কোনওদিন বাড়ির মালিক হতে পারবেন না।’’
নিয়ম অনুযায়ী সরকার যদি কোনওদিন তথ্য ঘেঁটে দেখে যাঁর নামে বাড়ি তার বদলে অন্য কেউ থাকছে, তবে তৎক্ষণাৎ তাঁকে সেখান থেকে উৎখাত করা হবে। এদিন মেয়র জানিয়েছেন, তখন বলবেন না এত টাকা দিয়ে কিনলাম! পুরো কেনার টাকাটা জলে যাবে। শহরাঞ্চলের আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য রাজ্য সরকারের প্রকল্প ‘বাংলার বাড়ি’।
[আরও পড়ুন: পাত্রকে পছন্দ নয় বন্ধুদের, বিয়ে বাতিলের চারদিন পরেই রহস্যমৃত্যু তরুণীর]
এদিন মেয়র জানিয়েছেন, বাংলার বাড়ি যে কেনা বেচা যায় না, তা নিয়ে কলকাতা পুরসভা সহ রাজ্যের সমস্ত মিউনিসিপ্যালিটিতে নির্দেশিকা জারি করা হচ্ছে। উল্লেখ্য কলকাতার নোনাডাঙাতেও বাড়ি হাতবদলের অভিযোগ উঠেছে। মেয়র জানিয়েছেন, ‘‘নোনাডাঙাতে যে কাজ অয়েছে, তা বৈধ নয়। কারণ সরকার যদি এই ধরনের কাজ ধরতে পারে, তবে জমি ফিরিয়ে নেওয়ার ক্ষমতাও সরকারপক্ষের রয়েছে।’’