অভিরূপ দাস: এই বছর পুজোয় সেরার সেরা পুরস্কার পেয়েছে রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের পুজো। এনিয়ে কলকাতার মেয়র তথা পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য,‘‘নাম দিইনি আমরা। দিলে সেরার সেরা হতেই পারতাম।’’ উল্লেখ্য, কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম নিজে চেতলা অগ্রণী ক্লাবের সভাপতি।
শুক্রবার মহাষষ্ঠীর দিন কলকাতা পুরসভার ‘কলকাতা শ্রী’ প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রাপকদের নাম ঘোষণা হয়। সেখানেই দেখা যায়, সেরার সেরা নিউ আলিপুর সুরুচি সংঘ। এদিন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) যখন নাম ঘোষণা করছিলেন তখন পাশে বসেছিলেন মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার (Debasish Kumar)। তিনিও দক্ষিণ কলকাতার ত্রিধারা সম্মিলনী পুজোর সভাপতি। এদিন পুরস্কার ঘোষণা করে মেয়র বলেন, ‘‘আমি একটা পুজোর সভাপতি। দেবাশিস কুমারও একটা পুজোর সভাপতি। আমরা ইচ্ছে করেই এই কলকাতা শ্রী প্রতিযোগিতায় নাম দিইনি। তাহলে একটা দ্বন্দ্ব তৈরি হতো।’’ কীসের দ্বন্দ্ব, তাও খোলসা করেছেন মেয়র। তাঁর কথায়, ‘‘আমার ক্লাব চেতলা অগ্রণী সেরার সেরা হলে সবাই বলতো ববি হাকিম নিজের ক্লাবকে পুরস্কার পাইয়ে দিয়েছে। একই কথা উঠতো দেবাশিস কুমারের ক্লাব পুরস্কার পেলে। সেইজন্য আমরা এই প্রতিযোগিতার বাইরে। এটা বললাম কারণ নাম দিলে সেগুলোও সেরার সেরা হতে পারতো।’’
[আরও পড়ুন: উদ্বোধনে অনাথ শিশুরা, অভিনব উদ্যোগ গড়িয়ার আবাসনের পুজোয়]
উল্লেখ্য, সুরুচি সংঘের (Suruchi Sangha) পাশাপাশি এবছর বিপুল ভিড় হচ্ছে চেতলা অগ্রণী আর ত্রিধারা সম্মিলনীর পুজোতেও। এবছর কলকাতা শ্রী প্রতিযোগীতার বিচারক মণ্ডলীতে ছিলেন বিশিষ্ট লেখক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়, কবি হরেন সেনগুপ্ত, ভাস্কর তাপস দাস, গায়িকা হৈমন্তী শুক্লা, শিক্ষাবিদ অপরাজিতা দাশগুপ্ত, ক্রীড়াবিদ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য্য, সিইএসসি-র তরফে চন্দন চক্রবর্তী এবং প্রসেনজিৎ ধর। ২০২৩-এ সুরুচি সংঘের সঙ্গে সেরার সেরা হয়েছে টালা প্রত্যয়, রাজডাঙা নবউদয় সংঘ, কাশী বোস লেন দুর্গা পুজো সমিতি। এছাড়াও সেরা পুজোর পুরস্কার পেয়েছে গড়িয়াহাট হিন্দুস্তান ক্লাব, ঠাকুরপুকুর স্টেট ব্যাঙ্ক পার্ক সর্বজনীন, তেলেঙ্গাবাগান সর্বজনীন দুর্গোৎসব, চোরবাগান সর্বজনীন। সেরা আলোকসজ্জার জন্য পুরস্কৃত হয়েছে সমাজসেবী। সেরা সম্ভাবনা, সেরা পরিবেশের জন্য অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে।
মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার জানিয়েছেন, পুজোর চারদিন কলকাতা ঘুরবেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। যদি তাঁর কোনও পুজো বিশেষ পছন্দ হয় তাহলে সেই পুজোর হাতে তুলে দেওয়া হবে মেয়র চয়েস অ্যাওয়ার্ড। পুরস্কার প্রাপক প্রতিটি পুজো কমিটিকে দেওয়া হচ্ছে ৫০ হাজার টাকা। বলে রাখা ভালো, গত ২২ সেপ্টেম্বর ঘোষণা হয়েছিল কলকাতা শ্রী অ্যাওয়ার্ডের। বিনামূল্যে কলকাতা পুরসভা থেকেই দেওয়া হয়েছিল প্রতিযোগীতার ফর্ম।
[আরও পড়ুন: অতিমারী কাটিয়ে ছন্দে ফিরেছে বাংলার প্রাণের পুজো, উৎসবের অনন্য স্বাদ পাবেন এই মণ্ডপে]