সংবাদ প্রতিনিধি ডিজিটাল ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে শাসকঘনিষ্ঠ একের পর এক নেতার নাম জড়াচ্ছে। অস্বস্তিতে দল। এই আবহেই রাজ্যে হয়ে গেল মাধ্যমিক পরীক্ষা, শুরু হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক (Higher Secondary)। মঙ্গলবার পরীক্ষা শুরুর দিন কলকাতার ৮২ নং ওয়ার্ড এলাকার পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। তিনি পরীক্ষার্থীদের চকলেট, জলের বোতল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। আর এখানেই তিনি শিক্ষায় দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন। তাতে ফিরহাদের স্বীকারোক্তি, টাকা দিয়ে চাকরি হলে তা খুবই লজ্জার। দুর্নীতি করে থাকলে পাপ করেছে। কিন্তু এই ঘটনায় তো সরাসরি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর নাম জড়িয়েছে? এই প্রশ্ন শুনে কিছুটা আক্ষেপের সুরেই তিনি বলেন, ”এই পার্থদাকে আমি চিনি না। আমার অচেনা লাগছে।”
পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন শিক্ষাদপ্তরে অধিকাংশ চাকরিতেই দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ, তথ্য মিলেছে। যার তদন্তে নেমেছে সিবিআই, ইডি। নাম জড়াচ্ছে একের পর এক তৃণমূল (TMC) ঘনিষ্ঠদের নাম। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তারির পরই তাঁকে ছেঁটে ফেলেছে দল। দুর্নীতি করলে দায় তাঁরই, দলের নয়। এমনই নীতি গ্রহণ করেছিল তৃণমূল। কিন্তু তাতেও জনমানসে স্বচ্ছতা ফেরেনি।
[আরও পড়ুন: ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় কেন্দ্রের অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণের আরজি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে]
মঙ্গলবার কলকাতায় উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, টাকার বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগ হলে পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ কী হবে? এর উত্তরেই তিনি বলেন, ”টাকা নিয়ে চাকরি হলে তা অন্যায় হয়েছে। এটা আমাদের সকলের কাছে লজ্জার। দুর্নীতি যে করেছে, সে পাপ করেছে।” এরপর তিনি বলেন, ”এই পার্থদাকে আমি চিনি না। আমার অচেনা। এতদিন ধরে আমরা একসঙ্গে রাজনীতি করছি, কিন্তু এই পার্থদা আমার চেনা নয়।” তাঁর কথা থেকেই স্পষ্ট, শিক্ষায় দুর্নীতিতে দলের যোগ ধীরে ধীরে প্রমাণিত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট অস্বস্তিতে শাসকদল।