সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত তিন দশকে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে 'সুপার পওয়ার' বদলে গিয়েছে। নেপথ্যে রকেট গতিতে চিনের উত্থান। ইংল্য়ান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স ধর্তব্যের মধ্যে নেই। এমনকী রাশিয়াকে টপকে চিন এখন টক্কর দিচ্ছে আমেরিকাকে। অর্থনীতির মতোই প্রতিরক্ষাতেও তারা ওয়াশিংটনকে টেক্কা দিচ্ছে, সেকথা ফের স্পষ্ট হল। বুধবার আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (ICBM) সফল পরীক্ষা করল বেজিং। চাইলে চিন থেকেই সুদূর আমেরিকার শহরে পরমাণু হামলা চালাতে পারে অতি দূপপাল্লার আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র! স্বভাবতই জিন পিংয়ের দেশ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করায় উদ্বিগ্ন হোয়াইট হাউস।
পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র হলেও কখনও ক্ষমতা জাহির করতে দেখা যায়নি চিনকে। এই প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কথা জানাল তারা। বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। চিনের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, পিপলস লিবারেশন আর্মির রকেট বাহিনী একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করেছে। প্রতীকী ওয়ারহেড মাথায় বসিয়ে সেটি পরীক্ষা করা হয়েছে। বুধবার সকাল ৮টা বেজে ৪৪ মিনিটে ক্ষেপণাস্ত্রটির উৎক্ষেপণ করা হয়। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে হামলা চালায় সেটি। চিন সরকারের দাবি, এটি একটি রুটিন প্রক্রিয়া।
একটা সময়, যখন 'সুপার পাওয়ার' মানচিত্র রাশিয়া ও চিনের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। তখন উভয় দেশ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘ ঠান্ডা যুদ্ধের কথা গোটা বিশ্বের জানা। এবার চিনের এই পরীক্ষা বিশেষ বার্তা বলেই মনে করা হচ্ছে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, এই পরীক্ষার উদ্দেশ্য সাধন হয়েছে। যাঁদের জানানো প্রয়োজন ছিল, সেই সমস্ত দেশকে এই পরীক্ষার কথা জানানো হয়েছে। যদিও কোথা থেকে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়, কোন পথে সেটি প্রশান্ত মহাসাগরে গিয়ে পড়ে, তা খোলসা করেনি শি জিনপিং সরকার।