সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে ভারত-আমেরিকার সখ্যতা সর্বজনবিদিত। কিন্তু মার্কিন মসনদে এখন পালাবদল হয়েছে। প্রেসিডেন্ট পদে বসেছেন জো বাইডেন। দু’দেশের সম্পর্ক মজবুত করতে জো বাইডেনের আমলে প্রথমবার আমেরিকা সফর করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর (S Jaishankar)। সেখানে মার্কিন প্রশাসনিক কর্তাদের পাশাপাশি রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেসের সঙ্গেও কথা হয় তাঁর। এই আলোচনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
বুধবার এক মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারচুয়াল আলোচনাসভায় অংশ নিয়েছিলেন জয়শংকর। ছিলেন আমেরিকার প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এইচ আর ম্যাকমাস্টার। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। তাঁর কথায়, আফগানিস্তানের নবপ্রজন্ম জানে না গত ২০ বছর সে দেশে কী পরিস্থিতি ছিল। তাই তাঁদের জীবন রক্ষা করার দায়িত্ব নেওয়া উচিৎ ছিল আমেরিকার। সন্ত্রাসবাদ নিয়েও কড়া বার্তা দেন তিনি। ভারতের বিদেশমন্ত্রীর কথায়, ভারত কোনওভাবেই নাশকতামূলক কার্যকলাপ বরদাস্ত করবে না। এর বিরুদ্ধে যথাসথ ব্যবস্থা নেবে।
[আরও পড়ুন: মেহুল চোকসিকে ফেরত নিতে নারাজ অ্যান্টিগা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফেরানো হতে পারে ভারতে]
মঙ্গলবারই আমেরিকার মাটিতে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক সারেন এস জয়শংকর। সেখানে সন্ত্রাসবাদ, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা, দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার ভূ-কৌশলগত পরিস্থিতি, আফগানিস্তান থেকে আমেরিকার সেনা প্রত্যাহারের পর ভারতের সম্ভাব্য ভূমিকার মতো বিষয়গুলি বাদ দিতে টিকাকরণ নীতি নিয়ে আলোচনা হয়। উল্লেখ্য, ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন গুতেরেস। এমনকী পরিস্থিতি মোকাবিলায় মোদি সরকার ব্যর্থতা নিয়েও সরব হয়েছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, করোনা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মোদি সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে এই বৈঠকে জানতে চান রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব। সেই জবাব দেওয়ার পাশাপাশি কোভিড টিকা নিয়েও আলোচনা হয়।
ওয়াকিবহাল মহল বলছে, এই আলোচনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ করোনা টিকা নিয়ে অনেকক্ষেত্রেই ভারত আমেরিকার উপর নির্ভরশীল। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে এই আলোচনা কার্যত ঘুরিয়ে বাইডেন প্রশাসনকে বার্তা দেওয়া বলেই দাবি করছে আন্তর্জাতিক মহল।