সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেজিংয়ের উপর চাপ বাড়িয়ে হংকংয়ে চিনা দমন নীতির বিরুদ্ধে সরব আন্তর্জাতিক মঞ্চ। স্বশাসিত প্রদেশটির আইনসভা থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বহিষ্কার করার চিনা আইনের বিরুদ্ধে এবার সুর চড়িয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও নিউজিল্যান্ড।
[আরও পড়ুন: মাত্র ৮৭ ঘণ্টায় সাতটি মহাদেশে ভ্রমণ! অবিশ্বাস্য বিশ্বরেকর্ড আমিরশাহীর তরুণীর]
বুধবার এই পাঁচটি দেশের বিদেশমন্ত্রীদের জারি করা যৌথ বিবৃতিতে চিনকে তুলোধোনা করা হয়েছে। হংকংয়ের আইনসভা থেকে ‘জাতীয় সুরক্ষার’ অভিযোগে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বের করে ব্রিটেনের সঙ্গে হংকং হস্তান্তর চুক্তির খেলাপ করেছে বেজিং বলে অভিযোগ জানানো হয়েছে যৌথ বিবৃতিতে। পাঁচটি দেশ আরও বলেছে, জাতীয় সুরক্ষার নামে বিরোধী আওয়াজ দমিয়ে দিতে অভিযান চালাচ্ছে জিনপিং প্রশাসন। পাশাপাশি, হংকংয়ের সংবাদমাধ্যমের উপরও রাশ টেনেছে চিন বলেও অভিযোগ করে আমেরিকা-সহ পাঁচটি দেশ।
সম্প্রতি, চিনের পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব পাশ করা হয়। সেখানে বলা হয় যে ‘জাতীয় সুরক্ষা’র স্বার্থে হংকংয়ের আইনসভা থেকে যে কোনও নির্বাচিত সদস্যকে বহিষ্কার করতে পারবে স্বশাসিত প্রদেশটির প্রশাসন। এই আইন প্রয়োগ করেই গত সপ্তাহে চারজন গণতন্ত্রকামী বিরোধী সদস্যকে লেজিসলেটিভ কাউনসিল থেকে বরখাস্ত করা হয়। এই ঘটনার পরই রীতিমতো বিক্ষোভ শুরু হয়েছে হংকংয়ে। সরব হয়েছে আন্তর্জাতিক মঞ্চ। বিশ্লেষকদের মতে, হংকংয়ের স্বায়ত্বশাসিত প্রদেশের মর্যাদা কেড়ে নিয়ে সম্পূর্ণভাবে নিজেদের শাসনে আনার চেষ্টা করছে চিন।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসে আন্তর্জাতিক মঞ্চের প্রতিবাদ হেলায় উড়িয়ে হংকং নিয়ে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা বিল পাশ করে চিন। বিতর্ক উপেক্ষা করেই ‘National security legislation for Hong Kong’ শীর্ষক বিলটিতে সই করেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এর ফলে স্বায়ত্বশাসিত প্রদেশটির উপর বেজিংয়ের রাশ আরও মজবুত হয়েছে। তারপরই চিনের উপর চাপ বাড়িয়ে হংকংয়ের (Hong Kong) ৩০ লক্ষ বাসিন্দাকে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা ঘোষণা করে ব্রিটেন। শুধু তাই নয়, সদ্য হংকংয়ের ‘চিনপন্থী’ প্রশাসক ক্যারি লাম-সহ ১০ জন উচ্চপদস্থ চিনা আধিকারিকের উপর ভ্রমণ ও আর্থিক বিষয় সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে ওয়াশিংটন। হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার ক্ষুণ্ণ করে নিপীড়ন চালাচ্ছে বেজিং যার জেরে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। বিশ্লেষকদের মতে, নয়া আইন লাগু করে হংকংয়ে গণতন্ত্রকমীদের বাগে আনতে চাইছে বেজিং। এবার বেছে বেছে বিক্ষোভকারীদের নিশানা করবে শি জিনপিং সরকার। পাশাপাশি, এভাবেই ধীরে ধীরে হংকংয়ের বিশেষ মর্যাদাও রদ করবে চিন।