সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: ঝালদায় নিহত কংগ্রেস (Congress) কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায় কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে জন্য ৫ পুলিশকর্মীকে ক্লোজ করল পুরুলিয়া (Purulia) জেলা পুলিশ। এই তালিকায় রয়েছেন একজন মহিলা সাব-ইন্সপেক্টর, দু’জন কনস্টেবল, এক স্পেশ্যাল হোমগার্ড ও একজন এনভিএফ। জানা গিয়েছে, খুনের ঘটনার দিন ঘটনাস্থলের ২৫০ মিটার দূরে থাকা ঝালদা থানার পুলিশের মোবাইল টহলদারি ভ্যানের দায়িত্বে ছিলেন এই পাঁচ পুলিশকর্মী। রবিবার তাঁদের বেলগুমা পুলিশ লাইনে ক্লোজ (Close)করা হয়েছে বলে জানান জেলা পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগন। কাউন্সিলর তপন কান্দু হত্যাকাণ্ডের কিনারা করতে ইতিমধ্যেই জোরকদমে তদন্তের কাজ শুরু করেছে সিট।
রবিবার দুই সদস্যের ফরেন্সিক দল ঝালদায় (Jhalda) এসে তদন্তের কাজ শুরু করেন। পুরুলিয়া জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’জনের ওই দলে ব্লাড এন্ড বায়োলজিক্যাল ও ব্যালেস্টিক এক্সপার্ট রয়েছেন। তাঁরা মূলত ঘটনাস্থল ঘুরে দেখার পাশাপাশি উদ্ধার হওয়া গুলির খোল ও ম্যাগাজিন পরীক্ষা করবেন। তবে খুনের ঘটনার পর সাতদিন পার হয়ে গেলেও একজন গ্রেপ্তার হওয়া ছাড়া এই ঘটনার তদন্ত তেমন এগোয়নি। এখনও এই ঘটনায় অনেক কিছুই ধোঁয়াশা রয়েছে তদন্তে গঠিত সিটের কাছে। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস. সেলভামুরুগন বলেন, “ফরেনসিক দল এসেছে। তারা তদন্ত করছেন।”
[আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের মূল্যবৃদ্ধির জের, এক ধাক্কায় ডিজেলের দাম বাড়ল ২৫ টাকা!]
গত ১৩ মার্চ ঝালদা–বাঘমুন্ডি সড়কপথে গোকুলনগরের কাছে খু্ন হন ঝালদা পুরসভার দু’নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস (Congress) কাউন্সিলর তপন কান্দু। রবিবার সেখানে গিয়ে দেখা যায় ঘটনাস্থল চিহ্নিত করে রেখেছে ঝালদা থানার পুলিশ। ভাঙা ইট, আগাছা ভরতি বস্তা ও কালো পিচ রাস্তায় খড়ি কেটে ব্যারিকেড করে রাখা আছে। আর ওই চিহ্নিত এলাকার নজরদারির দায়িত্বে দুই সিভিক ভলান্টিয়ার।
সিটের (SIT)কাছে এখনও যে বিষয়গুলি ধোঁয়াশা তার মধ্যে অন্যতম হল –
- এই খুনে দ্বিতীয় ও তৃতীয় আততায়ীর চেহারা কেমন? যা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা বলতে পারেননি।
- সিট এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি খুনি সহ ওই তিন আততায়ী লাগোয়া ঝাড়খণ্ডে গা ঢাকা দিয়েছে নাকি এই
এলাকায় রয়েছে? নাকি বাংলা–ঝাড়খণ্ড সীমনায় ঝালদার তুলিন থেকে ঝাড়খণ্ডের মুরি স্টেশন হয়ে ভিন রাজ্যে চলে গিয়েছে?
পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস.সেলভামুরুগন বলেন, “এখনও এই বিষয়গুলি নিয়ে আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি।
তদন্ত চলছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই সব কিছু বলা যাবে না।”