মণিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: গত দুদিন ধরে অবিরাম বৃষ্টি, সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। আর অসময়ের এই বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সমস্ত ফুল। আগামী মঙ্গলবার বিশ্বকর্মা পুজো। সেসময় ফুলের দাম আকাশছোঁয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা ফুল চাষিদের। স্থপতিদেবের পুজোয় কীভাবে ফুলের জোগাড় করবেন, তা ভেবে চিন্তিত উদ্যোক্তারাও।
শুক্রবার দুপুর থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। শনিবার দিনভরই চলছে বর্ষণ। সঙ্গে তীব্র ঝোড়ো হাওয়া। আর তাতেই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ফুলচাষি এবং পুজো উদ্যোক্তাদের কপালে। বিশ্বকর্মা পুজোয় দোপাটি, রজনী, গাঁদা-সহ সব ধরনের ফুলই দরকার হয়। গাঁদার চাহিদা থাকে বেশি। বিশেষ করে হলুদ গাঁদা ফুলের মালার তো ব্যাপক চাহিদা থাকে। প্রতিবছর এই সময় ফুল চাষিরা পুজোর এক সপ্তাহ আগে থেকে ফুল তুলে তা হিমঘরে রেখে দেন। আর বিশ্বকর্মা পুজোয় সেখান থেকে বিক্রি করেন। তাছাড়া ফুল টাটকা থাকার জন্য দিন দুই দিনের আগে সেই ফুল বের করে অন্যত্র বিপণনও করেন ফুলচাষিরা। এতে তাঁরা কিছুটা বাড়তি রোজগার করতে পারেন।
হাওড়ার বাগনান ২ নম্বর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার ফুলচাষিরা মূলত এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে জড়িত। এছাড়া ১ নম্বর ব্লকের কয়েকটি পঞ্চায়েতেও ফুলচাষিরা রয়েছেন। বৃষ্টির কারণে তাঁরা গত দুদিন ধরে ফুল সংগ্রহ করতে পারছেন না। ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। আশঙ্কা একটাই, এর প্রভাব পড়বে বিশ্বকর্মা পুজোর ফুলের বাজারে। সারা বাংলা ফুল চাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতির রাজ্য সম্পাদক নারায়ণ নায়েক এমনটাই জানাচ্ছেন।
শুধু এটুকুই নয়, বৃষ্টির জন্য ফুলের পাঁপড়িতে দাগ হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি থেমে গেলেও সেই ফুল বাজারজাত করার আগে দাগওয়ালা ফুল বাদ দিতে হবে। এতে ফুলের জোগানও কমে যাবে। স্বাভাবিকভাবে ফুলের দাম বাড়বে। একথা জানিয়েছেন বাগনানের বাঁকুড়দহ গ্রামের ফুলচাষি পুলক ধাড়াও।