নিরুফা খাতুন: নতুন বছরে দাপুটে ইনিংস শুরু করল শীত (Winter)। সোমবারের পর মঙ্গলবার আরও নামল তাপমাত্রা। এদিন ভোরের দিকে রাজ্যের প্রায় সর্বত্রই কুয়াশা (Fog)ঢাকা ছিল। তবে বেলা বাড়তেই তা কেটে যায়। আর জাঁকিয়ে ঠান্ডাও পড়ে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বৃহস্পতিবারের পর থেকে উত্তুরে হাওয়ার দাপট আরও বাড়বে। আগামী কয়েকদিন শৈত্যপ্রবাহ (Cold Wave) চলতে পারে।
খানিকটা উষ্ণ আমেজে বর্ষশেষ হলেও নতুন বছরে যে শীত ফিরবে, সেই পূর্বাভাস ছিলই। বছরের দ্বিতীয় দিন থেকেই তা সত্যি হয়ে উঠল। আলিপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আগামী পাঁচদিন মূলত পরিষ্কার আকাশ থাকবে। শুক্রবার থেকে পরবর্তী দু-তিন দিনে রাজ্যের তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত নামতে পারে। সপ্তাহান্তে কলকাতার (Kolkata) তাপমাত্রা ফের ১৩ ডিগ্রি বা তার নিচেও নেমে যেতে পারে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে যাবে তাপমাত্রা। জাঁকিয়ে শীতের স্পেল শুরু হবে।
[আরও পড়ুন: দ্বিতীয় দিনের সফরেই বিপত্তি, মালদহে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে ইটবৃষ্টি, ভাঙল দরজার কাচ]
উত্তরবঙ্গে বিশেষত দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার পার্বত্য অঞ্চলে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে ঘন কুয়াশার সতর্কবার্তা আগামী ২৪ ঘন্টায়। রাজ্যের আর কোথাও বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। মঙ্গলবার ভোরের দিকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা ছিল। যার জন্য যানবাহন চলাচলে বেশ খানিকটা প্রভাব পড়েছে। ফগ লাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালায়ে হয়। ট্রেন, বিমান চলাচলে দেরি হয়।
[আরও পড়ুন: ‘সব দেশে স্টেডিয়াম হোক পেলের নামে’, আবেদন ফিফা প্রেসিডেন্ট ইনফান্তিনোর]
তবে পরে কুয়াশার প্রভাব কেটে যায়। কলকাতায় মূলত পরিষ্কার আকাশ। সকালের দিকে হালকা কুয়াশা। বৃহষ্পতিবার থেকে পরিবর্তন হবে আবহাওয়ার। আপাতত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই মহানগরীতে।মঙ্গলবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫.৬ ডিগ্রি। সোমবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কলকাতায় ছিল ২৪.৭ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের (Humidity) পরিমাণ ৪৭ থেকে ৯১ শতাংশ।
এদিকে, চরম শৈত্যপ্রবাহের সতর্কবার্তা রয়েছে রাজস্থান, পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশে। হরিয়ানা, চণ্ডীগড় এবং দেশের রাজধানী দিল্লিতে শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি থাকবে শনিবার পর্যন্ত। আগামী ২৪ ঘন্টায় দু’ থেকে তিন ডিগ্রি তাপমাত্রা কমতে পারে উত্তর-পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলিতে।