সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাথি মারার জন্যই তো ফুটবল! মানে হেড করাই যায়, তবে লাথিটাই ফুটবলের মুখ্য বিষয়। কিন্তু 'মুখ্য' বিষয়টা 'মুখ' হয়ে গেলে মুশকিল। খেলার সময় অনেক ক্ষেত্রে মুখে পা লেগেই যায়। তার জন্য লাল কার্ডের বন্দোবস্তও আছে। তবে লাল কার্ড দেখানোর দায়িত্ব যাঁর, সেই রেফারিই যদি কুংফু স্টাইলে লাথি মেরে বসেন?
ঠিক এরকম ঘটনারই সাক্ষী হল পেরু। যদিও সেদেশের ফুটবল মাঠের ঘটনা ইতিমধ্যে ভাইরাল। কোপা পেরু টুর্নামেন্টে ম্যাচ চলছিল স্পোর্ট হুয়াকিয়া ও মাগদালেনার মধ্যে। দেশের সব অঞ্চলের ক্লাব এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে। দক্ষিণ আমেরিকার দেশের শীর্ষ লিগে খেলার ছাড়পত্র পাওয়া যায় এই টুর্নামেন্ট থেকে। সেখানে হুয়াকিয়া আর মাগদালেনার ম্যাচ তখন প্রায় শেষ মুহূর্তে। হুয়াকিয়া এগিয়ে ছিল ২-১ গোলে।
আর সেই সময়ই ঘটনার সূত্রপাত। দ্বিতীয়ার্ধের ৩৭ মিনিটে আচমকাই রেফারির দিকে একটি বোতল নিয়ে তেড়ে যান মাগদালেনার এক কোচিং স্টাফ। কী কারণ, সেটা অবশ্য বিস্তারিত জানা যায় না। সাধারণত এই সব ক্ষেত্রে রেফারিরা হয় কিছুটা পিছিয়ে যান, নতুবা প্রতিরোধ করেন। ওই ম্যাচের রেফারি দ্বিতীয়টাই করলেন। আর সেটা কুংফু স্টাইলে লাথি মেরে।
এক পায়ে ভর করে সোজা লাথি হাঁকান ওই রেফারির মুখে। মোক্ষম আঘাত! সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে পড়ে যান ওই রেফারি। অন্যান্যরাও দ্রুত ছুটে আসেন। রেফারি অবশ্য তাতেও খুব একটা শান্ত হননি। শেষ পর্যন্ত মাঠে পুলিশ ঢুকতে বাধ্য হয়। লাথি-কাণ্ডের পর অবশ্য আর বল গড়ায়নি। কিছুক্ষণ ঝামেলার পর ম্যাচ বাতিল করে দেওয়া হয়।