দুলাল দে: কোনদিকে যাচ্ছে ভারতীয় ফুটবলের ভবিষ্যৎ? দেশের সর্বোচ্চ আদালতে ফেডারেশনের সংবিধানজনিত বিষয়ে শুনানি রয়েছে ২ এবং ৩ এপ্রিল। ভারতীয় ফুটবল সমর্থকরা এখন সেদিকে তাকিয়ে। ফেডারেশনের নতুন সংবিধান নিয়ে আদালত তার কী পর্যবেক্ষণ জানাবে, তা নিয়েই সবার আগ্রহ। কারণ, নতুন সংবিধান প্রণয়ন হলে সময় শেষের আগেই ফের নির্বাচন হবে কি না, তা নিয়েই সবার আগ্রহ। এর মধ্যে আবার ডিসেম্বরে শেষ হয়ে যাবে ফেডারেশনের সঙ্গে এফএসডিএলের সম্পর্ক। স্বাভাবিকভাবে কী ভাবে চলবে ভারতীয় ফুটবল, কোথা থেকে টাকা আসবে, তা নিয়ে এখন সবচেয়ে বেশি আলোচনা ভারতীয় ফুটবল হাউসে।
পাশাপাশি অন্য একটা ব্যাপার নিয়েও অসন্তোষ বাড়ছে ফুটবল ফেডারেশনে। এফএসডিএলের সঙ্গে চুক্তি সম্পর্ক বিষয়ে কথা বলার জন্য কয়েকজনকে দায়িত্ব দিয়েছিল ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটি। সেই মতো এফএসডিএল কর্তাদের সঙ্গে দিল্লিতে প্রথম মিটিংয়ে বসার পর, তা কার্যকরী কমিটিকে জানানোও হয়েছিল। এরপর ফের মুম্বইয়ে আলোচনায় বসে দু'পক্ষ। কিন্তু সেই আলোচনার বিষয় আর কিছুই জানানো হয়নি কার্যকরী কমিটিকে। এমনকী এরপর ফেডারেশনের সেই দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তারা কলকাতায় এসে নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসেন। কিন্তু কার্যকরী কমিটিকে জানানো হয়নি, এফএসডিলের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে কী ভাবছে ফেডারেশন? আর এফএসডিএলের প্রস্তাব নিয়ে ভবিষ্যতে কোন পথে যাওয়া হবে, তা নিয়েও কোনও আলোচনা হয়নি কার্যকরী কমিটিতে।
এতে ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটির অনেকেই বেশ বিরক্ত। কেন তাঁরা কিছু জানবেন না, কেন সব কিছুতে এত লুকোছাপা হচ্ছে, তা নিয়েও বিরক্ত কার্যকরী কমিটির সদস্যরা। এর মধ্যে সুপার কাপ আয়োজনের ভার ফেডারেশনের উপর ছেড়ে দিয়েছে এফএসডিএল। যা ২১ এপ্রিল থেকে শুরু হবে ওড়িশাতে। কিন্তু সুপার কাপ নিয়ে কোনও দলের এখনও পর্যন্ত সে ভাবে কোনও আগ্রহ নেই। যেহেতু ফেডারেশন আয়োজন করবে, তাই এফএসডিএলও কোনও মাথা ঘামাচ্ছে না সুপার কাপ নিয়ে। শোনা যাচ্ছে, অনেক দলই এবারের সুপার কাপে প্রথম সারির দল না-ও নামাতে পারে। আইএসএলের লিগ-শিল্ড পেয়ে যাওয়ার পর মোহনবাগান যদি আইএসএলের কাপ-ও পেয়ে যায়, তাহলে সুপার কাপ নিয়ে মোহনবাগান কতটা আগ্রহ দেখাবে, তা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।