সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১০-র ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনাল। ম্যাচের বয়স তখন ১১৬ মিনিট। ক্রমশ পেনাল্টি শুট-আউটের দিকে এগোচ্ছে ফাইনাল। সেই সময়ে জ্বলে উঠলেন এক ব্যক্তি। স্পেনের জার্সি পরা সেই ফুটবলারের শট জড়িয়ে গেল নেদারল্যান্ডসের জালে। ওই এক গোলেই বিশ্বকাপ জেতে স্পেন। প্রথমবারের জন্য। আর স্পেনের সেই মহানায়ক অবশেষে বিদায় জানালেন ফুটবলকে। অবসর নিলেন আন্দ্রে ইনিয়েস্তা।
শুধু ওই একটা ম্যাচ নয়, স্পেনের ইতিহাসের সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফুটবলার তিনি। ফুটবলের ইতিহাসে বললেও ভুল বলা হয় না। বার্সেলোনার সাফল্যের অন্যতম কারিগর। মাঝমাঠে শিল্পের ছোঁয়ার সঙ্গে থাকত গোলের মুখ খুলে ফেলার মতো হিসেবনিকেশ। জাভি, ইনিয়েস্তা আর মেসির যুগলবন্দিতে অসংখ্য ট্রফি ঢুকেছে বার্সেলোনায়। তেমনই স্পেনের জার্সিতে জিতেছেন বিশ্বকাপ। দুটো ইউরো কাপ। অথচ কখনই ব্যালন ডি'ওর জেতেননি। ১০ নম্বর বা ৭ নম্বর জার্সি যেমন বিখ্যাত, তেমনই ৮ নম্বর জার্সিকে বিখ্যাত করেছেন ইনিয়েস্তা।
অবসরের ক্ষেত্রেও অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে সেই নম্বরটি। এদিন তিনি বিষয়টি জানিয়ে দিলেও আনুষ্ঠানিক অবসর নেবেন ৮ অক্টোবর। সোশাল মিডিয়ার পোস্টে সেরকমই ইঙ্গিত। লা মাসিয়া থেকে উঠে আসার পর ২০০২ সালে বার্সেলোনার হয়ে অভিষেক হয় ইনিয়েস্তার। ৪৪২ ম্যাচে করেছেন ৩৫টি গোল। স্পেনের হয়ে ১৩১ ম্যাচে ১৩টি গোল। কিন্তু ফুটবলপ্রেমীরা জানেন শুধু গোলের সংখ্যা দিয়ে ইনিয়েস্তাকে বিচার করা সম্ভব নয়।
অনেকেরই মনে পড়বে, বার্সেলোনায় তাঁর শেষ ম্যাচটার কথা। ২০১৮-র শেষ ম্যাচের পর ফাঁকা স্টেডিয়ামে অনেকক্ষণ একা বসেছিলেন তিনি। তার পর খেলেছেন জাপানের ক্লাব ভিসেল কোবেতে। শেষ বছরে খেলেছেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর ক্লাব এমিরেটসে। লা লিগা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, উয়েফা সুপার কাপ, ক্লাব বিশ্বকাপ-সহ ইউরোপে যে কটি সম্ভব, সবকটি ট্রফিই জিতেছেন তিনি। ২০১২-র ইউরোর সেরা প্লেয়ারও হয়েছেন। স্পেনের হয়ে অবসর নিয়েছেন ২০১৮ সালে। এবার ৪০ বছর বয়সে চিরতরে বুটজোড়া তুলে রাখলেন ইনিয়েস্তা।