আর্জেন্টিনা: ১ (৪) (লিসেন্দ্রো মার্টিনেজ)
ইকুয়েডর: ১ (২) (কেভিন রড্রিগেজ)
টাইব্রেকারে জয়ী আর্জেন্টিনা।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চোট সারিয়ে ফিরলেন মেসি। কিন্তু পেনাল্টি মিস করলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। তবে এমি মার্টিনেজের দুরন্ত গোলকিপিংয়ে শুক্রবার ইকুয়েডরকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠে গেল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। টাইব্রেকার পর্যন্ত দুরন্ত লড়াই করেও কোপা আমেরিকা থেকে ছিটকে গেল ইকুয়েডর।
চিলি ম্যাচে ডান পায়ের উরুর পেশিতে চোট পেয়েছিলেন মেসি (Lionel Messi)। আর্জেন্টাইন মহাতারকার চোট পাওয়া নিয়ে রীতিমতো দুশ্চিন্তা সৃষ্টি হয়েছিল। আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল, পেরু ম্যাচ তো বটেই, কোয়ার্টার ফাইনালেও মেসিকে খেলানো ঝুঁকির হয়ে যাবে! পেরুর বিরুদ্ধে আর্জেন্টিনা টিম ম্যানেজমেন্ট মেসিকে ছাড়াই দল নামিয়েছিল। তবে ইকুয়েডর ম্যাচের আগে মেসি দলের সঙ্গে প্র্যাকটিসে যোগ দেন। শেষ আটের পুরো ম্যাচেই খেলতে দেখা গেল মেসিকে।
[আরও পড়ুন: ‘২০২৬ সালে মরে যাব’, আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়ে ফের জামিনের আর্জি মানিকের]
কোয়ার্টার ফাইনালের শুরু থেকেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে দুই দলের মধ্যে। বল দখলের লড়াই বা গোল লক্ষ্য করে শট- দুই ক্ষেত্রেই সেয়ানে সেয়ানে টক্কর হয়েছে। প্রথমার্ধের ৩৫ মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন লিসেন্দ্রো মার্টিনেজ। দীর্ঘক্ষণ সেই লিড ধরে রাখে আর্জেন্টিনা (Argentina)। মেসি এদিন মাঠে নেমে গোলে শট করলেও গোল করতে পারেননি। ইনজুরি টাইমের শুরুতেই গোল শোধ করে দেন ইকুয়েডরের কেভিন রড্রিগেজ।
নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয় ১-১ ফলে। ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়াতে প্রথম শট নিতে আসেন এলএমটেন। কিন্তু তাঁর পেনাল্টি আটকে দেন ইকুয়েডরের গোলকিপার এ ডমিনগেজ। শট বাঁচিয়ে দেওয়ার পরে মেসিকে এসে জড়িয়েও ধরেন তিনি। কিন্তু মেসির ব্যর্থতার দিনে নায়ক হয়ে উঠলেন সেই এমি মার্টিনেজ। ইকুয়েডরের প্রথম দুটি পেনাল্টি আটকে দেন। অন্যদিকে, মেসির মিসের পরে গোল করে দেন আর্জেন্টিনার চার তারকা। ৪-২ ফলে জিতে কোপা (Copa America) জয়ের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখল আর্জেন্টিনা।