দুলাল দে: অবশেষে ডার্বি নিয়ে জট কাটল। নির্ধারিত দিনেই খেলা হতে চলেছে আইএসএলের ফিরতি ডার্বি। তবে কলকাতায় নয়। আগামী ১১ জানুয়ারি গুয়াহাটিতে মুখোমুখি হবে দুই প্রধান। জানা গিয়েছে, ভুবনেশ্বর, জামশেদপুর বা দিল্লিতে ডার্বি আয়োজনের কথা ভাবা হয়েছিল প্রাথমিকভাবে। তবে শেষ পর্যন্ত দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী খেলবে গুয়াহাটিতে।
গঙ্গাসাগর মেলার জন্য ১১ জানুয়ারিতে পুলিশ দেওয়া সম্ভব নয়। একথা প্রশাসনের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল। তারপর থেকেই ডার্বি নিয়ে জটিলতা বাড়তে থাকে। তবে একটা বিষয় নিশ্চিত হয়ে যায় যে, হোক বা বাংলার বাইরে, ১১ জানুয়ারিতেই হবে ডার্বি। কারণ এফএসডিএল যেভাবে ক্রীড়াসূচি করেছে তাতে ১১ জানুয়ারির ম্যাচ বদলে দিয়ে অন্য দিন করলে ক্রীড়াসূচিতে সমস্যা হবে। সেখান থেকে আলোচনা শুরু হয়, কলকাতার বাইরে অন্য কোথায় আয়োজিত হতে পারে হাইভোল্টেজ ম্যাচ। যদিও শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত এফএসডিএল এবং মোহনবাগান চেয়েছিল, ডার্বি খেলা হোক কলকাতাতেই।
বাংলার বাইরে অন্য ভেন্যুর কথা ভাবতে গিয়ে প্রথমেই উঠে এসেছিল জামশেদপুর এবং ওড়িশার নাম। ভেবে দেখা হচ্ছিল দিল্লির কথাও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাতিল হয়ে গিয়েছে এই তিন কেন্দ্রই। ওড়িশায় পূর্ব নির্ধারিত কিছু অনুষ্ঠানের কারণে ডার্বি আয়োজন সম্ভব নয়। প্রবল ঠান্ডার মধ্যে দিল্লিতে গিয়ে ডার্বি খেলতেও অসুবিধা হবে। জামশেদপুরে ডার্বি হলেও বেশি দর্শক আসবেন না বলেই আয়োজকদের অনুমান। তাই শেষ পর্যন্ত গুয়াহাটিকে বেছে নেওয়া হয় ডার্বির কেন্দ্র হিসাবে। আগামী ১১ জানুয়ারি সেখানেই খেলতে নামবে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান।
আসলে জানুয়ারি মাসের ৮ থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত চলবে গঙ্গাসাগর মেলা। যে কারণে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে জঙ্গি অনুপ্রবেশের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। যে কারণে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, পুণ্যার্থীদের সুরক্ষার জন্য ১৩ হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবে গঙ্গাসাগরে। এই পরিস্থিতিতে ১১ জানুয়ারি ডার্বির জন্য পুলিশ মোতায়েন করা যথেষ্ট কঠিন হয়ে পড়ছিল। শেষ পর্যন্ত বাংলার বাইরে নিয়ে যেতে হল ডার্বি। উল্লেখ্য, আগের ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলকে ২-০ গোলে পরাস্ত করেছিল মোহনবাগান। সেটা ছিল লাল-হলুদের ঘরের ম্যাচ।