দুলাল দে: কার্লেস কুয়াদ্রাত পরবর্তী সময়ে বিনো জর্জের কোচিংয়ে ইস্টবেঙ্গল(East Bengal) প্রথম ম্যাচ খেলতে নামছে শনিবার, জামশেদপুর এফসি-র বিরুদ্ধে। তবে ফলাফল যাই হোক, পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে তাতে ১৯ অক্টোবর ডার্বি ম্যাচে শেষ পর্যন্ত বিনো জর্জকেই না চিফ কোচের চেয়ারে রাখতে হয়। এর একটাই কারণ, ভিসা সমস্যা।
কার্লেস কুয়াদ্রাতও যখন ইস্টবেঙ্গলের কোচ হয়ে এসেছিলেন, ভারতের ওয়ার্কিং ভিসা পেতে তাঁরও ১৫ দিনের বেশি লেগে গিয়েছিল। সেখানে ইস্টবেঙ্গল এখনও নতুন কোচের সঙ্গে চুক্তি করেনি। অপেক্ষা করা হচ্ছে শনিবারের ম্যাচের জন্য। সব ঠিকঠাক থাকলে আইএসএলে মুম্বই সিটি এফসিতে কোচিং করিয়ে যাওয়া স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজোর দিকেই ঝুঁকে পড়েছে ইস্টবেঙ্গল। ভীষণভাবেই চেষ্টা হচ্ছে ডার্বি ম্যাচের আগেই তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসার।
আইএসএলে হারের হ্যাটট্রিকের জন্য কুয়াদ্রাতের কোচিং নিয়ে ইস্টবেঙ্গল কর্তারা ক্ষুব্ধ ছিলেন, এটা সত্যি। কিন্তু কুয়াদ্রাত নিজেই যে চাকরি ছেড়ে দেবেন, এতটা কল্পনা করতে পারেননি লাল-হলুদ কর্তারা। ফলে কুয়াদ্রাতের হঠাৎ ছেড়ে দেওয়ায় কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়ে টিম ম্যানেজমেন্ট। নতুন কোচের সঙ্গে কথা বলা, তারপর তাঁর ওয়ার্কিং ভিসা জোগাড় করা একটা সময়সাধ্য বিষয়। নতুন কোচ ঠিক করার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যেহেতু মরশুমের মাঝপথে নিয়ে আসা হচ্ছে তাই জোর দেওয়া ভারতে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতার উপর। সেক্ষেত্রে যে দু’টো নামে ইস্টবেঙ্গল কর্তারা সম্মত হন, তাঁরা হলেন অস্কার ব্রুজো ও আলবার্তো রোকা।
বেঙ্গালুরু এফসি-র প্রাক্তন কোচ রোকা এই মুহূর্তে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসাবে কাজ করতেই আগ্রহী বেশি, যিনি কোচের উপরে থাকবেন। যিনি পরিকল্পনা তৈরি করবেন কিন্তু দৈনন্দিন কাজে যুক্ত হতে আগ্রহী নন। ফলে অস্কার ব্রুজোর প্রতি আগ্রহ বাড়ে ইস্টবেঙ্গলের, যিনি এই মুহূর্তে ফ্রিও আছেন। তবে সমস্যা সেই একটাই, ওয়ার্কিং ভিসা। এক্ষেত্রে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের যুক্তি হল, শুধু ডার্বিকে লক্ষ্য রেখে কোচ নির্ধারণ করা সম্পূর্ণ ভুল সিদ্ধান্ত। যে কোচকেই নেওয়া হবে, দীর্ঘ সময়ের কথা ভেবেই তাঁর সঙ্গে চুক্তি করা হবে। এই সিদ্ধান্ত থেকেই অস্কার ব্রুজোর দিকে এগিয়ে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল।