সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইএসএল থেকে বহিষ্কার করে দেওয়া হবে মহামেডানকে! বিস্ফোরক চিঠি পাঠানো হল এফএসডিএলের তরফে। সংগঠক সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ক্লাবের শেয়ার নিয়ে জটিলতা কাটেনি। স্পনসররাও সরে দাঁড়িয়েছেন। আর্থিক ক্ষেত্রে এমন অনিশ্চয়তা থাকলে আইএসএলে খেলা কঠিন বলেই জানিয়েছেন এফএসডিএল।
বুধবারই এফএসডিএলকে চিঠি দিয়ে ইনভেস্টর শ্রাচি জানিয়ে দিয়েছিল, আশ্বাস মতো শেয়ার না পাওয়ায় মহামেডানের আর দায় নেবে না তারা। এফএসডিএলকে করা ই-মেলে ‘সিসি’ করা হয়েছিল মহামেডান ও এআইএফএফকে। শ্রাচির এই চিঠির খবর পেয়েই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ক্লাব তাঁবুতে জরুরি বৈঠকে বসেন সাদা-কালো কর্তারা। ক্লাব সভাপতি আমিরুদ্দিন ববি জানান, বৈঠকে বসার আগে তিনি শ্রাচি কর্তা রাহুল টোডির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। তাঁকে আশ্বাস দেওয়া হয় দু-এক দিনের মধ্যেই চুক্তি সম্পন্ন করে শেয়ার হস্তান্তর করে দেওয়া হবে। যদিও শ্রাচীর তরফে এই নিয়ে কিছু জানানো হয়নি।
এহেন পরিস্থিতিতে এফএসডিএলের তরফে আল্টিমেটাম দিয়ে দেওয়া হল সাদা-কালো শিবিরকে। শনিবারে পাঠানো দীর্ঘ চিঠিতে এফএসডিএল জানিয়েছে, "পার্টিসিপেশন এগ্রিমেন্টের আওতায় ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি পেশ করতে পারেনি মহামেডান। শেয়ার হস্তান্তর নিয়েও ঢিলেমি চলছে। শ্রাচী স্পোর্টসের চিঠিও আমরা পেয়েছি। আমরা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চাই, আইএসএল খেলতে গেলে আর্থিক নিশ্চয়তা থাকা একান্ত প্রয়োজন। ক্লাবের মুখ্য ইনভেস্টর যদি এইভাবে সরে দাঁড়ায়, তাহলে দল চালানোর আর্থিক ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই।" আগামী ১১ এপ্রিলের মধ্যে ক্লাবকে জানাতে হবে, আগামী একমাসের মধ্যে তারা স্পনসর জোগাড় করতে পারবে কিনা। তা না হলে আইএসএল থেকে বহিষ্কার করা হবে মহামেডানকে।
তবে এফএসডিএলের চিঠি পেলেও আশাবাদী মহামেডানের জেনারেল সেক্রেটারি ইস্তিয়াক আহমেদ। তাঁর কথায়, গোটা বিষয়টি এখন আইনিভাবে সম্পন্ন করার চেষ্টা চলছে। ক্লাব এবং ইনভেস্টর দুপক্ষই প্রায় সহমত। কিন্তু প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে এখনও বেশ কিছুটা সময় লাগবে। শ্রাচী স্পোর্টস অবশ্য এই বিষয়ে এখনও নীরব।