shono
Advertisement
Sunil Chhetri

সুনীলের বিদায়ী ম্যাচে ভরা যুবভারতী চান স্টিমাচ, এক সপ্তাহ আগেই কলকাতায় ভারতীয় দল

ম্যাচ জিতেই সুনীলকে আবেগঘন বিদায় জানাতে চান জাতীয় দলের কোচ।
Published By: Arpan DasPosted: 02:07 PM May 25, 2024Updated: 04:04 PM May 25, 2024

স্টাফ রিপোর্টার : প্রথমে ঠিক ছিল কুয়েত ম্যাচের চারদিন আগে ভুবনেশ্বর থেকে কলকাতায় আসবেন সুনীল ছেত্রীরা (Sunil Chhetri)। সেইমতো ২ জুন কুয়েত ম্যাচ খেলতে কলকাতায় আসার কথা ছিল ভারতীয় দলের (India Football Team)। কিন্তু শুক্রবার ইগর স্টিমাচ (Igor Stimac) সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ২ রা জুন নয়, ২৯ মে শহরে পা রাখবেন তারা। কুয়েতের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে এক সপ্তাহ কলকাতায় অনুশীলন করতে চেয়েছেন জাতীয় কোচ। এখানকার আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে এই সিদ্ধান্ত তাঁর।
আপাতত শিবিরে ডাকা ৩২ জন ফুটবলার থেকে ২৭ জনকে বেছে নিয়েছেন তিনি। এই দুই সপ্তাহে আপাতত সুনীলদের ফিটনেসের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। সোমবার থেকে অনুশীলনে জোর দেবেন সেটপিস মুভমেন্ট ও পজেশনিংয়ের উপর। শিবিরের ফুটবলারদের ফিটনেস নিয়ে খুশি স্টিমাচ বলছেন, “ছেলেরা অনুশীলনে উন্নতি করছে। বারবার বলেছি দীর্ঘ মেয়াদি শিবিরের ফল পাওয়া যায় সবসময়। রক্ষণ কিংবা আক্রমণ সব বিষয়েই একাধিক পরীক্ষা নিরীক্ষার সুযোগ থাকে। পরিকল্পনা করা যায়। ওরা প্রতিদিনই ফিটনেসে উন্নতি করছে। সোমবার থেকে সেটপিস সহ অন্য দিকগুলোর দিকে নজর দেব।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: আইপিএল ফাইনালে জমজমাট আয়োজন, সমাপ্তি অনুষ্ঠানে গান গাইবে মার্কিন ব্যান্ড]

এক সপ্তাহ আগে কলকাতায় পা রাখার বিষয় নিয়েও ব্যাখ্যা দিয়েছেন জাতীয় কোচ, “এখানেও যথেষ্ট গরম। যদিও আমরা প্রতিটা অনুশীলনই উপভোগ করছি। এই গরমের কথা চিন্তা করেই কলকাতায় ম্যাচের সাতদিন আগে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। কারণ, ওখানকার পরিবেশ ও আর্দ্রতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে।” কুয়েত ম্যাচের প্রস্তুতিতে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে চান না এই ক্রোট কোচ।
এমনিতেই কলকাতা বরাবার ফুটবল পাগল শহর। সেই বিষয়টা ভালোভাবেই জানেন স্টিমাচ। এই জন্যই কুয়েত ম্যাচটা তিনি কলকাতায় খেলতে চেয়েছিলেন। তার উপর দুটো দিক থেকে এই ম্যাচটার গুরুত্ব বেড়ে গিয়েছে দ্বিগুণভাবে। প্রথমত ভারতের বিশ্বকাপের যোগ্যতা নির্ণয় পর্বের তৃতীয় রাউন্ডের স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে সুনীলদের কাছে এই ম্যাচটা মরণ-বাঁচন ম্যাচ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্বিতীয়ত, শেষবারের মতো এই ম্যাচেই দেশের জার্সি গায়ে চাপিয়ে মাঠে নামতে চলেছেন ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। তারজন্যও এই ম্যাচের গুরুত্ব বেড়ে গিয়েছে যথেষ্টই। আশা, ষাট হাজারের বেশি দর্শক মাঠে আসবেন ওই দিন, এমন মরণ-বাঁচন ম্যাচে যা প্লাস পয়েন্ট হবে ভারতের জন্য।

[আরও পড়ুন: ‘সব উৎসব ফাইনালের জন্য তোলা থাক’, সতীর্থরা কেক মাখানোয় বিরক্ত ম্যাচের সেরা শাহবাজ

স্টিমাচ যোগ করেন, “প্রতিটা মুহূর্তে মাথায় ঘুরছে এই ম্যাচের গুরুত্ব। এই ম্যাচটা জিততে পারলে প্রথমবারের জন্য ভারতের সামনে তৃতীয় রাউন্ডে যাওয়ার হাতছানি রয়েছে। আশা করছি এই ম্যাচে কানায় কানায় পূর্ণ থাকবে সল্টলেক স্টেডিয়াম। এটাও জানি, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সমর্থকরা এসে আমাদের সমর্থন করবে একই সঙ্গে সুনীলকে বিদায় জানাবে। একটা আবেগঘন মুহূর্তের সাক্ষী হতে চলেছি। তাই জিতে এই মুহূর্তটা উপভোগ করতে চাই।” দুই বছর আগে এএফসি এশিয়ান কাপে যোগ্যতা নির্ণয় পর্বের ম্যাচে একইরকমভাবে সমর্থন পেয়েছিলেন সুনীলরা। স্টিমাচ আশা করছেন, সেদিনের থেকেও বেশি মানুষ কুয়েত ম্যাচ দেখতে আসবেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • প্রথমে ঠিক ছিল কুয়েত ম্যাচের চারদিন আগে ভুবনেশ্বর থেকে কলকাতায় আসবেন সুনীল ছেত্রীরা।
  • শুক্রবার ইগর স্টিমাচ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ২ রা জুন নয়, ২৯ মে শহরে পা রাখবেন তারা।
  • আপাতত শিবিরে ডাকা ৩২ জন ফুটবলার থেকে ২৭ জনকে বেছে নিয়েছেন তিনি।
Advertisement