মোহনবাগান: ১ (কামিংস)
চেন্নাইয়িন: ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লিগ টেবিলে হারানো সিংহাসন ফিরে পাওয়ার লড়াইয়ে মোহনবাগানের সামনে ছিল চেন্নাইয়িন। ঘরের মাঠে জিততে পারলেই আইএসএলে ফের শীর্ষস্থানে চলে যাওয়ার সুযোগ মোলিনার দলের। সেটা ফসকালেন না সবুজ-মেরুনের ফুটবলাররা। তবে জয় এল কষ্টার্জিত পথ ধরে। ৮৬ মিনিটে কামিংসের একমাত্র গোলে জয় পেল মোহনবাগান। বদলি হিসেবে নেমে যেমন গোল করলেন কামিংস, তেমনই ম্যাচের সেরা আরেক বদলি গ্রেগ স্টুয়ার্ট।
ঘরের মাঠে চেনা দাপটের সঙ্গেই শুরু করেছিল মোহনবাগান। ম্যাচের প্রথম দিকে বলের দখল বেশির ভাগটাই ছিল সবুজ-মেরুন ফুটবলারদের দখলে। প্রায় সব প্লেয়ারকেই তখন নিজেদের অর্ধে নিয়ে আসে চেন্নাইয়িন। কিন্তু ম্যাচের বয়স যত গড়াতে থাকে, তত ছন্দপতন হতে থাকে। মাঝমাঠে পাসিং ফুটবল ঠিকঠাক হল না। চোখে পড়ছিল অনিরুদ্ধ থাপার অভাব। আপুইয়া তবু রক্ষণভাগ সামলালেও, দীপক ঠাংরিকে দিয়ে কাজের কাজটি ঠিক হচ্ছিল না। পেত্রাতোস অনেকটা নীচে নেমে আসছিলেন। কিন্তু গ্রেগ স্টুয়ার্ট যেভাবে এতদিন বিপক্ষের রক্ষণকে ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছিলেন, সেটা করতে পারছিলেন না দিমি।
তার মধ্যেও দুটো উইং সচল রেখেছিলেন মনবীর ও লিস্টন কোলাসো। মনবীরের বাড়ানো বল থেকে গোলের কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন দিমি। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারেননি। তবে চেন্নাইয়িনকে সব সময় চাপে রেখেছিলেন লিস্টন। বাঁদিক থেকে বার বার তিনি ঢুকে পড়ছিলেন বক্সের মধ্যে। তাঁর একটি গোলার মতো শট বাঁচিয়ে দেন চেন্নাইয়ের গোলকিপার মহম্মদ নাওয়াজ। তার পরও বক্সের মধ্যে একাধিক সুযোগ তৈরি করেছিলেন লিস্টন। কিন্তু খুঁজেই পাওয়া গেল না জেমি ম্যাকলারেনকে। বরং টানা প্রেসিং ফুটবলে প্রথমার্ধের দীর্ঘ সময় চাপ বাড়িয়েছিল চেন্নাইও। মোহনবাগানের বক্সে একাধিকবার হানা দিয়েছিলেন ইরফান ইদওয়াদরা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দীপেন্দুকে তুলে আশিস রাইকে নামান মোলিনা। পরে টাংরির জায়গায় নামলেন সাহাল আব্দুল সামাদ। মাঠে এলেন আশিক কুরুনিয়ন, জেসন কামিংস, গ্রেগ স্টুয়ার্টরা। আর তাতেই স্বস্তি। কামিংসের একটা শট বাঁচান মহম্মদ। কিন্তু ধারাবাহিক আক্রমণের চাপ সামলানো যায়নি। স্টুয়ার্টের একটা শট বারে লেগে ফেরে। ফিরতি বল থেকে বাঁ পায়ের বাঁকানো শটে জালে বল জড়িয়ে দেন কামিন্স। সেই গোলই ব্যবধান গড়ে দিল। ম্যাচের শেষ দিকে কামিংসের আরও একটি গোল অফসাইডে বাতিল হয়। কিন্তু গ্রেগ এটা ফের বুঝিয়ে দিলেন, কেন মোহনবাগানের প্রাণভোমরা তিনি। তবে স্টুয়ার্টের প্রত্যাবর্তন যেমন মোলিনাকে স্বস্তি দেবে, তেমনই চাপে বাড়বে শুভাশিস বোসের জন্য। কার্ড সমস্যায় পরের ম্যাচে নেই মোহনবাগানের অধিনায়ক। যেখানে প্রতিপক্ষের মাঠে গিয়ে সামলাতে হবে নর্থইস্ট ইউনাইটেডকে। যাদের কোচ পেদ্রো বেনালি এদিন যুবভারতীতে এসে মেপেও গেলেন। ৯ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শীর্ষে থাকলেও, চাপ পুরোপুরি মিটল না মোহনবাগানের।