সুমন করাতি, হুগলি: আগামী মঙ্গলবার থেকে সারা রাজ্যে কর্ম বিরতির ডাক দিল পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি। ইতিমধ্যেই রাজ্যে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভিন রাজ্যে রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য সরকার। যার জেরে সীমান্তে গিয়ে আটকে যাচ্ছে আলু বোঝাই ট্রাক। এরই পালটা মঙ্গলবার থেকে রাজ্যে আলু সরবরাহ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল ব্যবসায়ী সমিতি।
পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির রাজ্য সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় এদিন জানান, "ভিন রাজ্যে আলু পাঠাবার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের আলু বোঝাই গাড়ি সোমবারের মধ্যে ছাড়া না হলে মঙ্গলবার থেকে আলু ব্যবসায়ীরা কর্মবিরতিতে সামিলে হবেন।" আলু ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ভিন রাজ্যে আলু রপ্তানি বন্ধ রাখা হয়েছে। সমস্ত বর্ডারে আলুর ট্রাক আটকে রাখা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ গাড়ি আটকে চালককে কেস দিয়ে চালান করে দিচ্ছে। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার থেকে আমরা কর্মবিরতিতে যাবো। বাজারে আলু সরবরাহের কাজ ব্যবসায়ীরা বন্ধ রাখবে। সোমবার রাত থেকে রাজ্যের কোন হিমঘর থেকে কোন আলু নামানো হবে না। বলার অপেক্ষা রাখে না এই ধর্মঘট বাস্তবায়িত হলে রাজ্যে যেমন আলুর সংকট প্রবল আকার নেবে, তেমনি লাফিয়ে বাড়বে দাম।
উল্লেখ্য, রাজ্যে আলুর দাম বৃদ্ধি নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরই গত ২৩শে নভেম্বর কলকাতার বাজারে আলুর দামে রাশ টানতে হুগলির আলু ব্যবসায়ীদের নিয়ে হরিপালে বৈঠক করেন কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না। সেখানে ঠিক হয় ২৬ টাকা কেজি দরে হিমঘর থেকে আলু বিক্রি করবেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু তারপরেও ব্যবসায়ীরা প্রায় ৪০ টাকার দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছেন দাম।
আলু ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, হিমঘর থেকে বেরলেও আলু রফতানি করা যাচ্ছে না। তাই আলু পচে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমনকী সীমান্তে পাঠানো আলুবোঝাই ট্রাক আটকে দেওয়ায় লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। যার জেরেই ধর্মঘটের হঁশিয়ারি দিলেন আলু ব্যবসায়ীরা। প্রসঙ্গত, গত অগস্ট মাসেও আলু ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট ডেকেছিলেন। তার জেরে আলুর সঙ্কট দেখা দিয়েছিল। দামও বেড়েছিল আকাশছোঁয়া।