অর্ণব আইচ: ফের সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে সশরীরে হাজিরা দিতে নির্দেশ আদালতের। তাঁকে ৫ ডিসেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সশরীরে হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছে ব্যাঙ্কশালের বিশেষ সিবিআই আদালত। সিবিআইয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতেই এই নির্দেশ দেন বিচারক।
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে নিজেদের হেফাজতে নিতে মরিয়া সিবিআই। এর আগেও একাধিকবার সুজয়কৃষ্ণকে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে আদালতে হাজির করানো নির্দেশ দেন বিচারক। কিন্তু অসুস্থতার কারণে তিনি হাজির হতে পারেননি। এই ব্যাপারে প্রেসিডেন্সি জেলের পক্ষ থেকে আদালতকে তার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত রিপোর্টও দেওয়া হয়। শুক্রবারই আদালতের তরফে বলা হয়েছিল, সিবিআই চাইলে সুজয়কৃষ্ণকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য নতুন করে আবেদন করতে পারে। যার জেরে শনিবার ফের আদালতের দ্বারস্থ হয় সিবিআই।
এই মর্মে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে আদালতে আবেদন জানানো হয়, তদন্তের স্বার্থে হেফাজতে প্রয়োজন সুজয়কে। মামলার শুনানিতে এদিন বিশেষ সিবিআই আদালত নতুন করে হাজিরার জন্য পরোয়ানা জারি করেছে বলে সূত্রের দাবি। আদালতের নির্দেশ, ৫ ডিসেম্বর জেল থেকে সশরীরে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে আদালতে হাজির করতে হবে। প্রয়োজনে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের মামলায় জেলবন্দি সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে তদন্তের খাতিরে নিজেদের হেফাজতে নিতে পারে সিবিআই।
ইডির হাতে গ্রেফতার হয়ে সুজয়কৃষ্ণ এখন প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন। জেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, সুজয়কৃষ্ণ অসুস্থ। সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হতে পারেন মনে করে বুধবার কলকাতা হাই কোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন সুজয়। আসলে সিবিআই সুজয়কৃষ্ণকে ‘শোন অ্যারেস্ট’ দেখাতে চাইছে। তবে সশরীরে না এলে কাউকে হেফাজতে নেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত। এর পর সিবিআই জানায়, তাঁরা সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে চায়। তাতেও বাধা হয়ে দাঁড়ায় শোন অ্যারেস্ট। এই অবস্থায় ৫ ডিসেম্বর সুজয়কৃষ্ণের হাজিরার অপেক্ষায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি।