স্টাফ রিপোর্টার: এমনিতেই শেষ তিন ম্যাচে টানা হার। তার উপর এক ঘণ্টারও বেশি সময় প্রতিপক্ষ ৯ জনে খেললেও জিততে পারেনি মহামেডান। এই পরিস্থিতিতেও ক্লাব এবং ইনভেস্টর কর্তারা দাঁড়াচ্ছেন কোচ আন্দ্রে চেরনিশভের পাশে।
তবে দলের হতশ্রী পারফরম্যান্সে ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙেছে সমর্থকদের। শনিবার ম্যাচ শেষে কোচ স্টেডিয়াম থেকে বের হওয়ার সময়ই দেখা গেল তাঁদের রাগের বহিঃপ্রকাশ। চেরনিশভকে দেখে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান তুললেন কিছু সাদা-কালো সমর্থক। তিনি স্টেডিয়ামের বাইরে না যাওয়া পর্যন্ত টানা স্লোগান দিয়ে গেলেন ওই সমর্থকরা।
এর আগে মোহনবাগান কোচ জোসে মোলিনা এবং ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতকে শুনতে হয়েছে সমর্থকদের এই স্লোগান। দলের পারফরম্যান্সে বদল করে সেই মোলিনাই এখন সমর্থকদের নয়নমণি। আবার দলের দায়িত্ব ছাড়তে হয়েছে কুয়াদ্রাতকে। চেরনিশভের ভবিষ্যৎ কোন পথে যাবে, তার উত্তর দেবে ভবিষ্যৎই। তবে এদিন দলের পারফরম্যান্স নিয়ে অসন্তোষ গোপন করেননি সাদা-কালো কোচ। বলছিলেন, “৯ জনের ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে আমাদের জেতা উচিত ছিল। আমরা পুরো সময়টা একই ছন্দে খেলতে পারিনি। তাছাড়া ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাসেও ঘাটতি ছিল।”
এখনও পর্যন্ত লিগে মহামেডানের অন্যতম সেরা পারফর্মার অ্যালেক্সিস গোমেজকে হঠাৎ করে তুলে নেওয়া প্রসঙ্গে চেরনিশভের জবাব, “ও অস্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছিল। তাই তুলে নিয়েছিলাম।” মহামেডান এদিন ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজোর স্ট্র্যাটেজির সামনে আটকে গেল বলেই মনে করছেন প্রাক্তন তারকা সাবির আলি। সেখানে ক্লাবের ফুটবল সচিব দীপেন্দু বিশ্বাস আবার জানিয়ে গেলেন, অ্যাওয়ে ম্যাচ হিসাবে এদিন এক পয়েন্ট প্রাপ্তি একেবারেই খারাপ নয়!
এদিন সাদা-কালো জার্সিতে অভিষেকেই নজর কাড়লেন গোলকিপার ভাস্কর রায়ও। ২০২১-’২২ মরশুমে রাজস্থান ইউনাইটেডের জার্সিতে আই লিগের সেরা গোলকিপার হয়েছিলেন জলপাইগুড়ির এই যুবক। সেবার এই মহামেডানের বিরুদ্ধেই নিজের শেষ ম্যাচটা খেলেছিলেন তিনি। কারণ তারপর মুম্বই সিটি এফসি-তে যোগ দিলেও একটা ম্যাচও খেলার সুযোগ পাননি। প্রায় আড়াই বছর পর এবার মহামেডানের জার্সিতে মাঠে ফিরে বেশ ভালোই পারফর্ম করলেন ভাস্কর। এরমধ্যে মাদিহ তালালের দুরন্ত ফ্রি-কিক তিনি সেভ না করলে ম্যাচের ফল অন্য হতেই পারত।