স্টাফ রিপোর্টার: সোমবারই ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজো জানিয়েছিলেন, দ্রুত কলকাতায় চলে আসবেন সল ক্রেসপো। বুধবার বিকেলে দলের সঙ্গে যুবভারতীতে অনুশীলনে নেমে পড়লেন তিনি। অবশ্য শুরুতে সতীর্থদের সঙ্গে ফিটনেস ট্রেনিং করার পর বাকি সময়টা সাইড লাইনেই কাটালেন ক্রেসপো। তবে তা নিয়ে বিশেষ মাথাব্যথা নেই লাল-হলুদ জনতার। কারণ অস্কার আগেই বলে দিয়েছেন, স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের ম্যাচ ফিট হয়ে উঠতে আরও একটা মাস লাগবে। আপাতত ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের মনে প্রশ্ন অন্য। আনোয়ার আলি কি ডার্বি (Kolkata Derby) খেলবেন?
শনিবার গুয়াহাটিতে আইএসএলের ফিরতি ডার্বিতে মোহনবাগানের মুখোমুখি হবে ইস্টবেঙ্গল। বুধবার দুপুরেই ভেন্যুর নাম চূড়ান্ত করেছে আয়োজক সবুজ-মেরুন ম্যানেজমেন্ট। ফলে বড় ম্যাচ নিয়ে যা টানাপোড়েন ছিল, তা শেষ হয়ে গিয়েছে একধাক্কায়। এখন দুই শিবিরই রয়েছে ডার্বি আবহে। আর সেই আবহেই খোঁজ চলছে আনোয়ারের ফিটনেস নিয়ে। সোমবার ঘরের মাঠে মুম্বই সিটি এফসি ম্যাচের একেবারে শেষদিকে চোট নিয়ে মাঠ থেকে উঠে যান জাতীয় দলের এই তারকা ডিফেন্ডার। পরে দেখা যায় হুইলচেয়ারে করে এসে পৃথক গাড়িতে স্টেডিয়াম ছাড়ছেন আনোয়ার। তিনি গাড়িতেও ওঠেন অন্যদের কাঁধে ভর দিয়ে। সেসময় অস্কার জানিয়েছিলেন, চোট কতটা তা স্পষ্ট নয়। তবে তিনি আশা করছেন, দু'একদিন বিশ্রাম নিলেই আনোয়ার ঠিক হয়ে যাবেন।
মুম্বই ম্যাচের পর এদিনই ফের অনুশীলনে নামল ইস্টবেঙ্গল। আর এদিন অনুশীলনের ছবি একেবারেই স্বস্তি দেবে না লাল-হলুদ জনতাকে। কারণ অনুশীলনে এলেও মাঠে নামেননি আনোয়ার। গাড়ি থেকে নেমে ট্রেনিং গ্রাউন্ডে ঢোকার সময় দেখা যায়, স্বাভাবিকভাবে হাঁটতেও পারছেন না তিনি। কিছুক্ষণ পরই যুবভারতী ছেড়ে চলে যান আনোয়ার। ইস্টবেঙ্গলের তরফে অবশ্য দাবি করা হচ্ছে, শনিবারের ডার্বির আগে তিনি ফিট হয়ে যাবেন। তবে একান্তই যদি আনোয়ার না খেলেন, দল সাজানোর ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়বে ইস্টবেঙ্গল। কারণ যাঁর বদলি হিসাবে মুম্বই ম্যাচে তিনি মাঝমাঠে খেলেছেন, সেই সৌভিক চক্রবর্তীও এদিন দলের সঙ্গে পুরোদমে অনুশীলন করেননি। ফিজিক্যাল ড্রিলের পর মহম্মদ রাকিপ, ক্রেসপোদের সঙ্গে সাইডলাইনেই ছিলেন এই বঙ্গ মিডফিল্ডার। অবশ্য অনুশীলন শেষে সৌভিক জানিয়েছেন যে, তিনি ডার্বি খেলার জন্য তৈরি।
এদিন অনুশীলনে দীর্ঘক্ষণ সিচুয়েশন প্র্যাকটিস করতে দেখা যায় নন্দকুমার, ক্লেটন সিলভাদের। পাশাপাশি ট্রেনিং গ্রাউন্ডের পাঁচতারা হোটেল, যেখানে মোহনবাগানের কোচ-ফুটবলাররা থাকেন, তার জানলা দিয়ে কেউ অনুশীলনে নজর রাখছেন কি না, সেদিকেও নজর ছিল লাল-হলুদের। তবে মোহনবাগান নয়, আপাতত ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের উৎকণ্ঠা বাড়ছে আনোয়ারকে নিয়ে। কারণ ডার্বিতে সবুজ-মেরুনের দুরন্ত আক্রমণ ঠেকাতে তিনি যে লাল-হলুদের বাড়তি ভরসা, তা না বললেও চলে।