স্টাফ রিপোর্টার: সুপার কাপ খেলা নিয়ে আইএসএল ক্লাবগুলোকে চিঠি দিয়েছিল ফেডারেশন। যা এসেছিল মহামেডানের কাছেও। সাদা-কালো কর্তারা সুপার কাপ খেলতে আগ্রহী বলে ফেডারেশনকে জানিয়ে দিয়েছেন। বুধবার ক্লাবের কার্যনির্বাহী সভাপতি কামারউদ্দিন বলেন, "আমরা সুপার কাপ খেলতে চাই। ফেডারেশনকে জানিয়ে দিয়েছি। আর্থিক সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে আমরা তো এর মধ্যেই ডুরান্ড কাপে খেলেছি। একইভাবে সুপার কাপে দল নামাব। পুজোর পরে ইনভেস্টার সমস্যা মিটবে বলে আমরা আশাবাদী।"
গত মরশুমে একঝাঁক কোচ-প্লেয়ারের বেতন বকেয়া রয়েছে মহামেডানে। পাশাপাশি বিভিন্ন কারণে হওয়া জরিমানার অর্থও ফেডারেশনকে মেটাতে পারেনি তারা। ফলে এবার ট্রান্সফার উইন্ডো খোলার ঠিক আগে ফেডারেশনের তরফে রেজিস্ট্রেশন ব্যানের শাস্তি দেওয়া হয় তাদের। অবশেষে কর্তারাই উদ্যোগী হয়ে ফেডারেশনকে জরিমানার অর্থ মিটিয়েছেন। কিন্তু ইনভেস্টর সমস্যায় জেরবার মহামেডানের পারফরম্যান্স একেবারে হতশ্রী। কলকাতা লিগের অবনমন পর্বে নেমে গিয়েছে সাদাকালো ব্রিগেড।
তবে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ইনভেস্টর জট কাটতে চলেছে মহামেডানের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই ইনভেস্টর খুঁজতে উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কলকাতার এক সংস্থার সঙ্গে মহামেডানের চুক্তি হতে চলেছে। সমস্ত বকেয়া নতুন স্পনসরই মিটিয়ে দেবে বলেও শোনা যাচ্ছে। তার মধ্যেই মহামেডানের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, সুপার কাপে খেলতে চায় তারা।
অন্যদিকে, বুধবার সিএবি-তে ক্রিকেটারদের সই করায় মহামেডান। পরে সন্ধ্যায় তাঁবুতে সব ক্রিকেটারের সঙ্গে চুক্তি সই হয়। এ প্রসঙ্গে ক্লাবের ক্রিকেট সচিব কনিষ্ক শীল বলেন, “গতবার মরশুমের মাঝে কিছু সমস্যা হয়েছিল। তেমন পরিস্থিতি এড়াতেই সবার সঙ্গে চুক্তি করছি।” গতবার বেতন সংক্রান্ত ইস্যুতে ক্লাবের সঙ্গে টানাপোড়েনে জড়ান ক্রিকেটাররা। এবার সুদীপ চট্টোপাধ্যায়, গীতিময় বসুদের ধরে রাখার পাশাপাশি ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়, শ্রেয়ান চক্রবর্তীর মতো ঘরোয়া ক্রিকেটের চেনা মুখকে দলে নিয়েছে মহামেডান। কালীপুজোর আগেই অনুশীলনে নামবে সাদা-কালো শিবির।
