প্রসূন বিশ্বাস: মরশুমের শুরুতে নিজেকে মেলে ধরতে বেশ কিছুদিন সময় নিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন ঘাড়ের চোটে কাবু ছিলেন। সমর্থকরা সেই সময় কিছুটা হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আইএসএলের শেষ ম্যাচে জয়সূচক গোল করার পর সেই জেমি ম্যাকলারেনকে (Jamie Maclaren) নিয়ে উল্লাসে মাতলেন সমর্থকরা। ভিআইপি গেটের বাইরে তাঁর নামে স্লোগান তুললেন মেরিনার্সরা। মোহনবাগানের (Mohun Bagan) ইতিহাসের দিনে গোল করে ম্যাকলারেন নিজেও যে নাম লেখালেন ইতিহাসের পাতায়।

এদিন ম্যাচ শেষে মোহনবাগানের (Mohun Bagan) এই অজি তারকা (Jamie Maclaren) বলেন, "অসাধারণ অনুভূতি। এই মুহূর্তটাকে উপভোগ করছি।” তিনি আরও যোগ করেন, "অস্ট্রেলিয়া লিগেও আমি চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এখানকার মতো সমর্থকদের উন্মাদনা সেখানে পাইনি। সমর্থকরাই আমাদের শক্তি। মরশুমের শুরুর দিন থেকেই ওরা আমাদের উপর ভরসা রেখেছিল। সেই ভরসার প্রতিদান দিতে পেরেছি। লিগ-শিল্ড ও কাপ জিতে আমি তৃপ্ত।"
এদিনের আরেক গোলদাতা জেসন কামিংস (Jason Cummings) ম্যাচের আগের দিন সমর্থকদের আশ্বাসবাণী দিয়ে বলেছিলেন, আস্থা রাখতে। চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে নিজের কথা রাখতে পেরে উচ্ছসিত এই অজি তারকা। হাসতে হাসতে মাঠ ছাড়ার সময় নিজের স্টাইলে বলে গেলেন, "চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, এখন আনন্দ করার সময়।"
এদিন ম্যাচ হেরে রেফারিকে একহাত নিলেন বেঙ্গালুরু কোচ জেরার্ড জারাগোজা। বলছিলেন, “যতদিন না রেফারিং উন্নত হচ্ছে, ততদিন ভারতীয় ফুটবলের উন্নতি হবে না।" একই সঙ্গে জানিয়ে গেলেন, ঠিক একবছর আগে মোহনবাগানের কাছে চার গোল খেয়েছিল তাঁর দল। এবার ফাইনালে উঠেছে। জারাগোজার বার্তা, আগামী মরশুমে আরও শক্তিশালী হয়ে আইএসএলে নামবে তাঁর ছেলেরা। এদিন ম্যাচ হেরে হতাশ হয়ে পড়ছিলেন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। মাথা ঝুঁকিয়ে মাঠ ছাড়ার পাশাপাশি স্টেডিয়াম ছাড়ার সময়ও কারও সঙ্গে কথা পর্যন্ত বললেন না।